দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ চা এর কোনো তুলনা হয় না। কারণ এটি আমাদের জীবেনের একটি অনুষঙ্গ। চা অনেকের প্রিয় পানীয়। চা ছাড়া একটা দিন অনেকেই যেনো ভাবতেই পারেন না। এই চা করোনাকালে আপনাকে সুস্থ রাখতে পারে।
চা মানুষের শরীরকে সতেজ ও মনকে প্রশান্ত করে। আর্ন্তজাতিক চা দিবস ছিল গত ২১ মে। দিনটি ইতিমধ্যেই পার হয়ে গেছে। চা মানুষের জন্য স্বাস্থ্য উপকারি ও কিছু কিছু ক্ষেত্রে ওষুধের মতোই কাজও করে। করোনার এই মহামারিকালে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে চায়ের কোনো বিকল্প নেই।
আমরা করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে উদ্বিগ্ন। অতিমারিতে অনেকটাই বদলে গেছে আমাদের জীবন যাপন। করোনায় স্বাস্থ্য সচেতনতায় অনেকেই ঘরোয়াভাবে তৈরি বিভিন্ন পানীয় এবং খাবারের উপর ভরসা করে থাকেন। এই ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা তরল পানীয়কেই বেশি এগিয়ে রেখেছেন, যার মধ্যে আবার চা হলো অন্যতম।
ক্লান্ত লাগলে, বিশেষ করে সর্দি-কাশির ধাত রয়েছে যাঁদের, তাদের জন্য চা খুব উপকারি একটি জিনিস। দৈনন্দিন জীবনে টুকটাক প্রায় সব সমস্যার উপশমেই নির্দিধায় পান করতে পারেন চা। তবে এই চা’য়েরও আছে রকমফের। চা’য়ের সঙ্গে আদা, গোলমরিচ, এলাচ, দারুচিনি ব্যবহার কমবেশি সবারই জানা। তাছাড়া হার্বাল চা তো রয়েছেই। তবে করোনাকালে শরীর ভালো রাখতে খুব সহজেই তৈরি কারা যায় এমন এক চা’য়ের নাম হলো ‘তেজপাতা চা’।
এই পাতার নামের মধ্যেই একটা তেজ তেজ ভাব রয়েছে। প্রাচীনকাল থেকেই মশলা হিসেবে সুপরিচিত ও রীতিমত খ্যাতি রয়েছে তেজপাতার। তাছাড়াও প্রচুর ঔষধি গুণও রয়েছে। রান্নায় তেজপাতা ব্যবহার করলে যেমন গন্ধ বাড়ে তেমনই হজমেও উপকার হয়। করোনার এই সময় প্রতিদিন এক চা চামচ মধু মিশিয়ে পান করতে হবে তেজপাতা চা, যা আপনার অনেক উপকার আসবে। শরীরকে রাখবে সতেজ ও প্রাণবন্ত।
এই তেজপাতা চা তৈরি করা খুবই সহজ। প্রথমে একটি পাত্রে ২কাপ পরিমাণ পানি গরম নিয়ে তাতে ৩টি তেজপাতা ও এক চিমটি দারুচিনির গুঁড়া দিয়ে মিনিট দশেক সময় ফুটিয়ে নামিয়ে নিতে হবে। তারপর সঙ্গে যোগ করতে হবে অল্প পরিমাণে লেবুর রস এবং মধু। এভাবেই তৈরি হয়ে যাবে ‘তেজপাতা চা’। করোনার এই সময়টিতে তেজপাতা চা পানে হজমশক্তি বাড়বে শুধু তা নয়, সেঙ্গ সঙ্গে শরীরের বিপাকক্রিয়ার ক্ষমতাও বৃদ্ধি পাবে। অতিরিক্ত ওজনও কমবে। পেট ফাঁপা, বুকজ্বালা, বদহজম থেকেও পাওয়া যাবে মুক্তি।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।