দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা বেশিরভাগ সময় ডিম খেয়ে থাকি, সেটি সকালের নাস্তায় হোক বা বিকেলের কোনো নাস্তায় হোক। ডিমে রয়েছে প্রচুর প্রোটিন। তবে আমাদের অনেকের জানা নেই, ডিমের খোসার গুণাগুণ। বিষয়টি জেনে নিন।
শুধু বড়োই নয়, শিশুরাও অন্যান্য খাবারের চেয়ে ডিম কিংবা ডিম দিয়ে তৈরি নানা খাবারই বেশি পছন্দ করে। শুধু খাদ্য হিসেবে নয়, রূপচর্চা সহায়ক উপাদান হিসেবেও ডিম ব্যবহার হয়ে থাকে।
ডিম দিয়ে তৈরি নানা খাবারের কথা আমরা সবাই জানি। তবে ডিমের খোসাও যে নানারকম প্রয়োজনে ব্যবহার হয়ে থাকে, তা কিন্তু আমরা জানি না। ডিমের খোসায় রয়েছে প্রচুর ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, গ্লুকোসামিন, হায়ালুরোনিক অ্যাসিড এবং কোলাজেন। এই সব যৌগ শরীরের নানা ব্যাধি বা ব্যথা-বেদনা সরাতে কাজে লাগে।
ডিমের খোসাকে কীভাবে আপনার কাজে লাগাবেন সেটি আজ জেনে নিন :
ত্বক পরিচর্যা
ত্বক পরিচর্যাতেও ডিমের খোসা খুবই কার্যকরী। ডিমের সাদা অংশে ডিমের খোসা গুঁড়ো করে মিশিয়ে দিতে হবে। এতে তৈরি হয়ে যাবে আপনার দরকারি ফেসপ্যাক। এবার তা মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিটের মতো অপেক্ষা করতে হবে। তারপর হালকা গরম পানিতে ধুয়ে ফেলুন। মুখে পুরনো দাগ কিংবা ব্রণের সমস্যা থাকলে এই প্যাক সহজ সমাধান হতে পারে।
বাত কিংবা গাঁটের ব্যথা
বাত কিংবা গাঁটের ব্যথা কমিয়ে দিয়ে আরাম দেয় ডিমের খোসা। আপেল সাইডার ভিনেগারের সঙ্গে ডিমের খোসা গুঁড়ো করে মিশিয়ে দুই দিন রেখে দিতে হবে। তারপর গলে মিশে যাবে এই খোসা। এই মিশ্রণ লাগিয়ে নিতে হবে ব্যথার জায়গায়। এতে ব্যথা কমে যাবে ও আরাম পাওয়া যাবে।
পোকার আক্রমণ হতে রক্ষা করতে
ডিমের খোসায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম কার্বনেট, ম্যাগনেশিয়াম এবং ক্যালসিয়াম। বা়ড়ির বাগানে কিংবা কোনও গাছের গোড়ায় ডিমের খোসা গুঁড়ো করে ছড়িয়ে দিতে হবে। এতে করে পোকার আক্রমণ থেকে বাঁচবে আপনার গাছ।
পোড়া দাগ দূর করতে
বাসনের পোড়া দাগ দূর করতেও ডিমকে কাজে লাগাতে পারেন। বাসন ধোয়া সাবানের সঙ্গে ডিমের খোসা গুঁড়ো করে মিশিয়ে নিতে হবে। এতে করে পোড়া দাগ গায়েব হয়ে যাবে খুব সহজেই।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।