দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আগেকার আমলে রাজা-বাদশাহরা ছদ্মবেশে গ্রামে-গঞ্জে ঘুরে মানুষের অভাব অনটনের খবর নিতেন।সবকিছু ঠিকঠাক চলছে কিনা তা খতিয়ে দেখার জন্যও তারা এমনটি করতেন! তবে এবার একজন পুলিশ কমিশনার ছদ্মবেশে হাজির হলেন থানায় প্রকৃত অবস্থা জানতে।
আজকাল এমন ধরনের ঘটনা তেমন একটা চোখে পড়ে না। কারণ কর্মস্থলে ডিউটির টাইম শেষ, তো দায়িত্বও শেষ। তবে এখনও কিছু মানুষ রয়েছেন যারা সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করতে বদ্ধ পরিকর। তেমনি এক নজির স্থাপন করেছেন ভারতের মহারাষ্ট্র প্রদেশের পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণ প্রকাশ।
ভারতের পুনে শহরের পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণ প্রকাশ দেখতে চাইলেন নির্দেশনা দেওয়ার পরও সাধারণ মানুষের অভিযোগের ভিত্তিতে কেমন পদক্ষেপ নিচ্ছে স্থানীয় পুলিশ ও থানাগুলো। নিজে সেটি প্রত্যক্ষ করা জন্য সঙ্গে নিলেন সহকারি কমিশনার প্রেরণা খাটেকে। ওই নারী পুলিশ কর্মকর্তাকে তিনি সাজালেন তার স্ত্রী। তারপর পুনের একের পর থানায় যেয়ে জানাতে লাগলেন নানা ধরনের অভিযোগ।
নিজের আসল পরিচয় গোপন করে মুখে নকল দাড়ি-গোঁফ লাগিয়ে একের পর এক থানায় হাজির হলেন কৃষ্ণ প্রকাশ। প্রতিটি থানায় তারা পৃথক ধরনের অভিযোগের কথা বলেন। একটি থানায় তিনি অভিযোগ করেন, তার স্ত্রীকে কিছু বখাটে উত্ত্যক্ত করছে। অপর এক থানায় অভিযোগ করেন- ছিনতাই হয়ে গেছে তারই স্ত্রীর সোনার চেন। পরপর দুইটি পুলিশ স্টেশনে তাদের অভিযোগের ত্বরিত ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয়।
তবে অবহেলা দেখা যায় অপর একটি থানায়। স্থানীয় পিমরি চিঞ্চোয়ার থানায় গিয়ে কমিশনার অভিযোগ করেন যে, কোভিড আক্রান্ত রোগী নিয়ে যাওয়ার জন্য একজন অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার তাদের কাছ থেকে অনেক বেশি টাকা দাবি করছেন। তবে ওই থানার কর্তব্যরত অফিসার তার অভিযোগে সাড়াই দেননি। বরং সেই অফিসার তার অভিযোগ নিতে অস্বীকারও করেন। এ বিষয়ে তারা কিছু করতে পারবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন।
তারপরই পুলিশ কমিশনার নিজের আসল পরিচয় দেন। ইতিমধ্যেই ওই থানার কর্তব্যরত পুলিশ অফিসারের কাছে জবাবদিহি চেয়েছে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। কেনো অভিযোগ নেওয়া হলো না, তার সঠিক ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে ওই থানার দায়িত্বরত কর্মকর্তাকে।
রাজ্য পুলিশ কমিশনারের এমন ব্যতিক্রমি এবং মহৎ উদ্যোগ প্রশংসা কুঁড়াচ্ছে সব মহলে। স্বাভাবিকভাবে প্রটোকল ভেঙ্গে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কিছুই করতে চান না। সেখানে সাধারণ মানুষের কাতারে দাঁড়িয়ে তাদের অধিকারগুলো পরখ করে দেখার মতো সাহসী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন এই পুলিশ কমিশনার এবং তার অপর সহযোগী। অনেকেই বলেছেন, এমন উদ্যেমী অফিসার প্রশাসনের সব ইউনিটে থাকলে উপকৃত হবে দেশের সাধারণ মানুষ। বিচার পাবে প্রতিটি নাগরিক।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।