দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ঘুমের ঘরে নানান স্বপ্ন দেখা মানুষের স্বভাব। প্রকৃতপক্ষে মানুষ স্বপ্নে যা দেখে তা তাদের জীবনে ঘটে যাওয়া নানা ঘটনারই প্রকাশ। আবার স্বপ্নে ভবিষ্যতের ঘটনাগুলোও মানুষ প্রত্যাশা করে। এমনই এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের এক গবেষণায়।
জার্নাল স্লিপের নতুন এই গবেষণায় জানা যায়, রাতে মানুষের দেখা ৫৩.৫ শতাংশ স্বপ্ন কোনো না কোনো একটি স্মৃতির সঙ্গে জড়িত এবং প্রায় ৫০ শতাংশ স্বপ্নই একাধিক স্মৃতির সঙ্গে সম্পর্কিত। গবেষণায় আরও দেখা যায়, ২৫.৭ শতাংশ স্বপ্ন আসন্ন নির্দিষ্ট ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কিত ও ৩৭.৪ শতাংশ স্বপ্ন অতীতের এক কিংবা একাধিক নির্দিষ্ট স্মৃতির ওপর ভিত্তি করেই ভবিষ্যতের ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কিত।ভবিষ্যতে ঘটতে পারে এমন স্বপ্নগুলোও শেষ রাতের দিকেই মানুষ বেশি দেখে থাকে।
ওই গবেষণার সঙ্গে জড়িত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফুরম্যান ইউনিভার্সিটির স্নায়ুবিজ্ঞান প্রোগ্রাম ও মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. ইরিন ওয়ামস্লে বলেছেন, ‘স্বপ্নের অর্থ জানার জন্য মানুষ হাজার হাজার বছর ধরে চেষ্টা করে আসছেন। আমাদের গবেষণা নতুন এক প্রমাণ তুলে ধরেছে যে, স্বপ্ন আসলে স্মৃতি প্রক্রিয়াজাতকরণ কাজকেই মূলত প্রতিফলিত করে। যদিও বহু পূর্বেই এটা জানা যায় যে, মানুষের রাতের স্বপ্ন অতীতের অভিজ্ঞতাকেও অন্তর্ভুক্ত করে। তবে আমাদের গবেষণার তথ্য আরও বলছে যে, স্বপ্ন আসলে ভবিষ্যতের সম্ভাব্য ঘটনাগুলোও দেখায়।’
এই গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের ৪৮ জন শিক্ষার্থী গবেষণাগারে ঘুমিয়েছিলেন ও গবেষকরা পলিসম্নোগ্রাফির মাধ্যমে তাদের ঘুমের মূল্যায়ন করেন। অংশগ্রহণকারীদের রাতে ঘুম শুরুর সময়, আরইএম ঘুম ও নন-আরইএম ঘুমের পর্যায়ে ১৩ বার পর্যন্ত ঘুম ভাঙিয়ে তাদের দেখা স্বপ্ন সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। পরের দিন সকালে অংশগ্রহণকারীরা তাদের দেখা প্রতিটি স্বপ্নের উৎস হিসেবে বাস্তব জীবনের ঘটনা শনাক্ত করেন, সেসব ঘটনা আগের দিনের সন্ধ্যাতেই তারা গবেষকদের জানান। গবেষণায় মোট ৪৮১টি স্বপ্ন বিশ্লেষণ করা হয়।
এই বিষয়ে ড. ইরিন ওয়ামস্লে বলেন, ‘আমাদের গবেষণায় রাতের স্বপ্নের সম্পূর্ণ নতুন একটি ব্যাখ্যাও জানা গেছে। জীবনের ঘটে যাওয়া নানা ঘটনাগুলো থেকেই রাতের স্বপ্ন তৈরি হয়ে থাকে এবং অতীতের অভিজ্ঞতাগুলো ব্যবহার করেই স্বপ্নে ভবিষ্যতের ঘটনা দেখার একটি অভিনব পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়ে থাকে।’
উল্লেখ্য যে, সম্ভবত স্বপ্ন হচ্ছে মস্তিষ্কে সংগৃহীত তথ্যের পুনর্গঠন কিংবা একত্রীকরণের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। যেসব তথ্য মূলত সবচেয়ে জটিল কাঠামোর, সেগুলো পুনর্গঠনেরই প্রয়োজন পড়ে সবচেয়ে বেশি। সে কারণেই হয়তো দৃশ্য, স্থান, শব্দ (বা ভাষা), বাস্তব জ্ঞান, ঘটনা, তাৎপর্য ও মানবিক সম্পর্কগুলোই সব সময় ঘুরে ফিরে চলে আসে স্বপ্নের মধ্যে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।