দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ রক্তস্বল্পতার কারণে মানব দেহে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। হয়তো আপনার দেহের তেমন কোনো ক্ষতি হবে না। সমস্যা হলো, রক্তস্বল্পতার জন্য যে সকল রোগের উৎপত্তি ঘটে তা খুবই মারাত্মক হতে পারে।
এছাড়াও রক্তস্বল্পতার রোগীদের থ্যালাসেমিয়ার বাহক ধরা হয়ে থাকে। তাই রক্তস্বল্পতাকে অবহেলা করা মোটেও উচিত নয়। বরং যতো দ্রুত সম্ভব এই সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণে আনা অত্যন্ত জরুরি। তা নাহলে আপনি বুঝার আগেই হয়তো আপনার কোনো মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যাবে যা আপনি হয়তো পরে আর সামাল দিতে পারবেন না। তাই খুব সহজেই রক্তস্বল্পতা পূরণ করবে এমন কিছু খাবার গ্রহণ করুন।
লাল মাংস খান
রক্তস্বল্পতার রোগীদের জন্য আল মাংস খুবই উপকারী একটি খাদ্য। প্রচুর পরিমাণে আয়রণে ভরপুর লাল মাংস রক্তস্বল্পতা দূর করতে বিশেষভাবে ভূমিকা পালন করে। সেইসঙ্গে ত্বক এবং মাংসপেশিকেও সুরক্ষা করে।
ডিম খান
দিনে মাত্র একটি ডিম খাওয়ার অভ্যাস চিরকাল আয়রণের অভাব থেকে আপনাকে দূরে রাখতে পারে। ডিমের মতো সহজলভ্য খাবার রাখুন আপনার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকাতে।
ডালিম খান
এতে প্রচুর পরিমাণ আয়রণ ও ভিটামিন সি রয়েছে। এটি দেহে রক্ত প্রবাহ সচল রেখে দুর্বলতা, ক্লান্ত ভাব দূর করে থাকে। নিয়মিতভাবে ডালিম খেলে রক্তস্বল্পতা দূর হয়ে যাবে। প্রতিদিনের নাস্তায় এক গ্লাস ডালিমের রস খাওয়া খুবই উপকারী একটি কাজ।
চীনা বাদাম খান
ঘরে চীনা বাদাম এনে নিয়মিত খেতে দেখা যায় না কাওকে। তবে যদি আপনি রক্তস্বল্পতার হাত থেকে মুক্তি পেতে চান তাহলে প্রতিদিন চীনা বাদাম খান। চীনা বাদামের আয়রণ আপনাকে রক্তস্বল্পতা থেকে দূরে রাখবে।
টমেটো খান
টমেটো খুবই সহজলভ্য একটি খাবার। এটি খুব কার্যকরী রক্তস্বল্পতা দূর করতে পারে। টমেটোর আয়রণ, ভিটামিন সি ও লাইকোপেন রক্তস্বল্পতাসহ নানা রোগের হাত থেকে আমাদের বাঁচাতে পারে। তাই খাদ্যতালিকায় যোগ করুন টমেটো।
মধু খান
অনেকেরই মধু এমনিতে খাওয়া হয়ে ওঠে না। তবে মধু খুবই কার্যকরি রক্তস্বল্পতা দূর করার ক্ষেত্রে। চিনির পরিবর্তে নানা খাবারে যোগ করতে পারে মধু। এতে চিনির ক্ষতিকর প্রভাব থেকেও বাঁচা যাবে এবং রক্তস্বল্পতা দূর হবে।
খেজুর খান
আমাদের দেশে এমন মানুষ খুবই কম রয়েছেন যারা রমজান মাস ছাড়া অন্য সময় খেজুর খান। তবে এই খেজুরের পুষ্টিগুণ অপরিসীম। খেজুরে রয়েছে ভরপুর আয়রণ। রক্তস্বল্পতা দূর করতে হলে খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন খেজুর।
পালং শাক খান
পালং শাকে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এ, বি৯, ই, সি, বিটা কারটিন ও আয়রণও রয়েছে। যা মূলত রক্ত তৈরি করে থাকে। আধা কাপ পালং শাক সিদ্ধতে ৩.২ মিলিগ্রাম আয়রণ রয়েছে যা মহিলাদের দেহে ২০% আয়রণ পূরণ করতে পারে।
সামুদ্রিক মাছ খান
মাছের মধ্যে ভালো আয়রণের উৎসই হলো সামুদ্রিক মাছ। শিং মাছ, ইলিশ মাছ, ভেটকি মাছ, টেংরা মাছ ইত্যাদি সব মাছেই রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রণ। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় সর্বনিম্ন ৬০ গ্রাম মাছ রাখলে রক্তস্বল্পতা রোগ হতে দেহকে মুক্ত রাখা যাবে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।