দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা সবাই জানি ডিহাইড্রেশন কাটিয়ে সুস্থ ও তরতাজা থাকতে হলে আখের রসের বিকল্প নেই। এক গ্লাস আখের রস রোদ এবং গরমের ক্লান্তি কাটিয়ে উঠার জন্য যথেষ্ঠ।
অনেকেই আখের রস মিষ্টি হওয়ায় এড়িয়ে চলেন। এর প্রধান কারণ হলো আমরা মনে করি মিষ্টি আখের রস ওজন বাড়িয়ে দিবে। তবে এটা আমরা অনেকেই জানি না যে দ্রুত ওজন কমাতেও অদ্বিতীয় এই আখের রস। শুধু সঠিক সময় ও সঠিক পরিমাণে খেতে হবে এই পানীয় আখের রস। আখের রস কিভাবে ওজন কমায়? আজ সেই বিষয়টি আমরা জানবো।
আখের রসে রয়েছে শর্করা জাতীয় উপাদান
আখের রস মিষ্টি হলেও ওজন কমাতে সাহায্য করে। এতে আরও রয়েছে শর্করা জাতীয় উপাদান, সাধারণত ফলে আলাদা করে চিনি কিংবা সুইটনার ব্যবহার করার প্রয়োজন হয় না। বাজারচলতি প্যাকেটজাত জুসগুলিতে প্রচুর পরিমাণ আর্টিফিশিয়াল সুইটনার থাকে যেগুলো ওজন বাড়িয়ে দেয়। তাই ওজন কমাতে চাইলে অন্যান্য জুস না খেয়ে, নিয়মিত ডায়েট তালিকায় রাখুন আখের রস।
আখে রয়েছে ফাইবার
আখের রসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, যা হজম শক্তি বাড়াতে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে এই আখের রস।
বাড়িতেই বানাতে হবে আখের রস
ডায়েটিশিয়ানরা মনে করেন, সুস্থ থাকতে হলে বাড়িতেই বানিয়ে নিতে হবে আখের রস। এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পলিফেনল যা শরীরের মেদজনিত ফোলা ভাব কমিয়ে দিতে সাহায্য করে। কয়েক দিন পরেই দেখা যাবে নিজেকে অনেক বেশি ফিট ও ঝরঝরে লাগছে।
কোলেস্টেরল মাত্রা
ওজন বাড়ার অন্যতম প্রধান কারণই হলো শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি। এই কোলেস্টেরল রক্তের সঙ্গে মিশে শরীরে স্নেহজাতীয় পদার্থের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। আখের রসে কোনো কোলেস্টেরলই নেই। তাই নিশ্চিন্তে খেতে পারেন আখের রস, আপনার ওজন থাকবে নিয়ন্ত্রণেই।
আখের রসে আরও উপকারীতা:
# হজম শক্তি বাড়ায় এবং অ্যাসিডিটি নির্মূল করে।
# নিয়মিতভাবে আখের রস খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যায়।
# ডায়াবিটিস রোগীদের জন্যও অনেক কার্যকরী এই আখের রস। এটি রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। তাই ডায়াবিটিস রোগীরাও নির্দ্বিধায় খেতে পারেন আখের রস।
# আখের রসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রণ এবং ম্যাঙ্গানিজ। যা স্তন ক্যান্সার এবং প্রস্টেড ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
# শরীরের অবাঞ্ছিত টক্সিন দূর করে রোগ প্রতিরোধ শক্তি আরও গড়ে তুলতে সাহায্য করে আখের রস।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।