দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ করোনার টিকা প্রয়োগের পর রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে বিভিন্ন দেশে। এমনকি টিকা নেওয়ার পর রক্ত জমাট বেঁধে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। তবে টিকার কারণে নয়, এটি ঘটেছে ভুল পদ্ধতিতে ইঞ্জেকশন দেওয়ার কারণেই।
সাধারণ মানুষের কাছ থেকে এমন অভিযোগ আসতে থাকায়, একাধিক দেশে জনসন অ্যান্ড জনসন এবং অ্যাস্ট্রেজেনেকার টিকাও সাময়িক বন্ধ করে দেওয়া হয়। তারপর কারণ খুঁজতে শুরু করেন একদল বিজ্ঞানী।
সেসব গবেষণার পর সাম্প্রতিক একটি রিপোর্ট বলছে যে, মানবদেহে টিকা নেওয়ার পর রক্ত জমাটের কারণ সম্ভবত প্রতিষেধক নয়, গলদ রয়েছে ইঞ্জেকশন দেওয়ার পদ্ধতিতেই।
জার্মানির মিউনিখ বিশ্ববিদ্যালয় ও ইতালির একটি গবেষণা ইন্সটিটিউটের একদল গবেষক ইঁদুরের শরীরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন যে, ভুল পদ্ধতিতে ইঞ্জেকশন দেওয়ার কারণে প্রতিষেধক সরাসরি রক্তপ্রবাহে ঢুকে যাওয়ায় রক্ত জমাট বেঁধে যাচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, টিকার ইঞ্জেকশন দেওয়ার সময় সূচের মুখ যদি পেশির গভীরে না ঢোকে কিংবা যদি কোনো কারণে শিরায় আঘাত করে, তবে প্রতিষেধক সরাসরি রক্তপ্রবাহে চলে যেতে পারে। যখন চামড়া চিমটি দিয়ে তুলে সুচ ফোটানো হয়, ঠিক তখনও এই সমস্যা হতে পারে।
অদক্ষ হাতে কিংবা বিশেষ প্রশিক্ষণ ছাড়াই যদি কেও টিকা দেন, তখনই এই সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। পেশির মধ্যে সুচ ফোটানোর প্রথম ও প্রধান শর্তই হলো, কোনওভাবেই চামড়া তুলে ধরা যাবে না। এভাবে চামড়া তুলে ধরলে পেশির গভীরে সুচ প্রবেশ করানো অসম্ভব।
কোনো কারণে আবার টিকাগ্রহণের পর রক্তজমাট বাঁধলেও, প্রাণদায়ী একটি চিকিৎসা পদ্ধতির কথাও জানিয়েছেন কানাডার একদল বিজ্ঞানী। ম্যাকমাস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা দাবি করেছেন, এক্ষেত্রে রক্ত জমাট নিরোধক কোনো ওষুধের সঙ্গে বেশিমাত্রায় ইমিউনোগ্লোবিউলিন মিশিয়ে ইঞ্জেকশন দিলেও প্রাণ বেঁচে যাবে। তথ্যসূত্র: ফিন্যানসিয়াল টাইমস অবলম্বনে আরটিভি অনলাইন।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।