দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে আবারও জায়গা করে নিলো ইতালি। ইংল্যান্ডকে হতাশায় ডুবিয়ে ৫৩ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটলো ইতালির। তারা টাইব্রেকারে ৩-২ গোলে চ্যাম্পিয়ন হলো।
বাংলাদেশ সময় সময় রাত ১টায় শুরু হওয়া ম্যাচটি শেষ হতে সময় লাগে অনেক। ভোর ৪টার দিকে শেষ হয় এই ম্যাচটি। যে ম্যাচে প্রথমে ১-১ গোলে সমতা রাখে ইতালি। খেলার শুরুতেই ইংল্যান্ড গোল করে বসে। সেই গোল পরিশোধ করতে বেশ ঘাম ঝরাতে হয়েছে ইতালিকে। তারপর এক সময় পরিশোধও করে। কিন্তু সেই ড্র তেই থেমে থাকে। তারপর ৩০ মিনিটের অতিরিক্ত সময় গড়ায় খেলা। তাতেও কাজ হয়নি। তারপর আসে টাইব্রেকারের বিষয়টি। ইউরোর ফাইনালে ইংরেজদের হতাশায় ডুবিয়ে আজ্জুরিরা জিতে নিল স্বপ্নের সেই রূপালি ট্রফি।
১-১ সমতায় শেষ হওয়া মাঠের লড়াই গড়ায় টাইব্রেকারে। আর তাতেই পুনর্জন্ম ঘটলো ইতালির। টাইব্রেকারে জয় পেলো ৩-২ গোলের ব্যবধানে। যেনো এক নতুন সূর্যোদয় হলো ইতালিয়ান ফুটবলের। অন্যদিকে অন্ধকার নেমে এলো ইংল্যান্ডজুড়ে। বনুচ্চি-কিয়েলিনিরা যখন শিরোপা উদযাপনে ব্যস্ত, তখন না পাওয়ার শোকে ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে নেমে এলো যেনো শশ্মানের নীরাবতা। ইংলিশদের দুঃখ ৫৫ বছরের অপেক্ষার অবসান করতে না পারার বিষয়টি। ঘরের মাঠে প্রথম ফাইনাল হেরে যাওয়ার বিষয়ও।
পুরস্কার হিসেবে ইতালিয়ান গোলরক্ষক পেয়েছেন টুর্নামেন্ট সেরার স্বীকৃতিস্বরূপ রূপালী বল। অপরদিকে ৫ গোল করে গোল্ডেন বুট জিতেছেন পর্তুগালের ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। তার সমান গোল চেক প্রজাতন্ত্রের প্যাট্রিক শিকের। তবে কম ম্যাচ খেলায়, বাড়তি একটি অ্যাসিস্ট থাকায় রোনালদো পেলেন সেরা পুরষ্কার। আর উদীয়মান সেরা হয়েছেন স্পেনের পেদ্রি। সেরা গোলরক্ষক হিসেবে গোল্ডেন গ্লাভস জিতলেন জর্ডান পিকফোর্ড।
আজ প্রায় একটা ঘণ্টা উত্তেজনার রেণু ছড়িয়েছে ওয়েম্বলি স্টেডিয়াম। গোল না পেলেও টাইব্রেকারে বাজিমাত করে ফেলে ইতালি। ১৯৬৮ সালের পর আবারও ইউরোপ সেরা প্রমাণিত হলো রোমানরা। কার্যত টানা ৩৪ ম্যাচ অজেয় থেকে বিশ্বরেকর্ডের সামনে এসে দাঁড়ালো আজ্জুরিরা। পরবর্তী একটা ম্যাচ না হারলেই টানা ৩৫ ম্যাচ অজেয় থাকা ব্রাজিল এবং স্পেনকে ছুঁয়ে ফেলতে পারবে মানচিনির শীষ্যরা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।