দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ হৃদরোগের প্রকৃত কারণ কী? এই প্রশ্ন অনেকেই করেন। হৃদরোগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ সম্পর্কে আমরা জানতে চেষ্টা করবো। যা আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে কাজে আসবে।
গত কয়েক দশকে চিকিৎসাবিজ্ঞানীদের অসংখ্য গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, হৃদরোগের অন্যতম কারণই হলো মানসিক। এর নেপথ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রয়েছে যার, তা হলো ক্রমাগতভাবে টেনশন ও স্ট্রেস।
সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা এই বিষয়টির প্রতি গুরুত্বের সঙ্গেই মনোযোগ দিচ্ছেন। কারণ গবেষণায় দেখা যায় যে, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরলের আধিক্য বা ধূমপানের অভ্যাস না থাকা সত্ত্বেও শুধু স্ট্রেসের কারণেও একজন মানুষ করোনারি হৃদরোগে আক্রান্ত হতে পারেন।
গবেষকদের ধারণা মতে, ধমনীতে কোলেস্টেরল জমে ব্লকেজ সৃষ্টি হলেই যে শুধু হার্ট অ্যাটাক হবে তা কিন্তু নয়। কোরিয়ার যুদ্ধের সময়কার একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনাই এর সবচেয়ে বড় একটি প্রমাণ। সেই-সময় রণক্ষেত্রে নিহত সৈনিকদের নিয়মিতভাবে অটোপসি (Autopsy) করা হতো। চিকিৎসকরা সবিস্ময়ে লক্ষ করলেন যে, নিহত তরুণ সৈনিকদের শতকরা ৭০ জনেরই করোনারি ধমনী কোলেস্টেরল জমে বন্ধ হয়ে আসছিলো ( Advanced Stage of Atherosclerosis)। এদের মধ্যে আবার ১৯ বছর বয়সী তরুণ সৈনিকও ছিল।
এই বিষয়ে তখনই প্রশ্ন উঠলো, কোলেস্টেরল জমে ধমনীতে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়া যদি হার্ট অ্যাটাকের কারণ হয়, তাহলে এইসব তরুণ সৈনিকের মৃত্যু তো গুলির আঘাতে হয়নি; বরং যুদ্ধে আসার আগে বাড়িতে বসে হার্ট অ্যাটাকে হওয়াটাই কী স্বাভাবিক ছিলো না? তবে ধমনীতে এই পরিমাণ ব্লকেজ নিয়েও তারা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন?
শুধু তাই নয়, দেখা যায়, ধমনীতে ৮৫% ব্লকেজ নিয়ে একজন মানুষ ম্যারাথন দৌড়েও অংশ নিয়েছেন। আবার এমনও হয়েছে যে, ধমনীতে কোনো ব্লকেজ নেই, তবে কেনো হঠাৎ করেই হার্ট অ্যাটাক হয়ে গেলো?
# লেখাটি ডা. মনিরুজ্জামান এবং ডা. আতাউর রহমান এর লেখা এনজিওপ্লাস্টি ও বাইপাস সার্জারি ছাড়াই ‘হৃদরোগ নিরাময় ও প্রতিরোধ’ শীর্ষক বই অবলম্বনে অনুদিত।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।