দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মন পড়তে পারা হেলমেট নিয়ে আসছে কারনেল স্টার্টআপ! বর্তমানে এটির দাম অনেক হলেও ২০৩০ সাল নাগাদ তারা এই হেলমেটটির দাম একটা স্মার্টফোনের দামে নামিয়ে আনতে চান।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গ্রাহকরা খুব শীঘ্রই হাতে পেতে যাচ্ছেন কারনেল নামের এক কোম্পানির বানানো হেলমেট। ৫০ হাজার ডলারের এই হেলমেট কঠোরভাবে কথা বলতে পারে, আবার মানুষের মনও পড়তে পারে। এতে এমন কিছু সেন্সর এবং ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করা হয়েছে যা মস্তিষ্কের ইলেক্ট্রিক্যাল আবেগ, চিন্তার রক্ত প্রবাহের গতি পরিমাপ ও বিশ্লেষণও করতে পারে!
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, এইসব প্রযুক্তি এখন দুনিয়ায় রয়েছে। তবে তা দেখতে হলে লাখ লাখ ডলারের যন্ত্রপাতি ও রোগীকে একটি ক্লিনিক্যাল সেট আপে নিয়ে যেতে হয়। তবে কোম্পানিটি এইসব প্রযুক্তি এবার একটি হেলমেটের মধ্যেই নিয়ে আসছেন। যে কেও এই হেলমেট পরে ঘুরে বেড়াতে পারবেন।
গবেষকরা আশা করছেন যে, এর মাধ্যমে মস্তিষ্কের পক্কতা, মানসিক অস্থিরতা, স্ট্রোকের মতো বিষয়গুলো আরও নিবিড় করে অনুসন্ধান করা সম্ভব হবে। হেলমেটটি তৈরি করতে ৫ বছর সময় লাগিয়েছেন ব্রায়ান জনসন। এতে ব্যয় হয়েছে প্রায় ১১ কোটি ডলার! যার অর্ধেকই নিজের টাকা ও বাকিটা তহবিল আকারে সংগ্রহ করেছেন তিনি। কারনেল নামে এই স্টার্টআপ কোম্পানীর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হলেন জনসন।
কারনেলের প্রথম দিকের হেলমেটগুলো মস্তিষ্ক গবেষণা প্রতিষ্ঠানকে টার্গেট করে বানানো হয়। মানুষ কিভাবে পণ্য নিয়ে চিন্তা করে তা যেসব কোম্পানী দেখতে চান মূলত তারাই এই হেলমেট ব্যবহার করবেন। জনসন বলেছেন, ২০৩০ সাল নাগাদ তারা এই হেলমেটের দাম একটা স্মার্টফোনের দামের মধ্যে নামিয়ে আনতে চান।
জনসন আরও জানিয়েছেন, এই হেলমেট ব্যবহারকারীরা তাদের মানসিক স্বাস্থ্যকে গুরুত্বের সঙ্গেই নিতে পারবেন, এমনকি আমেরিকান রাজনৈতিক মেরুকরণের মূল কারণও জানতে পারা যাবে এটির মাধ্যমে!
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।