দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ স্মার্টফোনের দিন কি তাহলে শেষ হয়ে যাচ্ছে? এমন প্রশ্ন যদি করা যায় তাহলে ভড়কে যাবেন সবাই। কিন্তু আসলে তা নয়, এবার আসছে স্মার্টফোনের বিকল্প ‘লাইটফোন’।
আমাদের এই আধুনিক যুগে স্মার্টফোন এনে দিয়েছে নানা সুযোগ-সুবিধা। আজ মানুষের হাতের মুঠোয় চলে এসেছে পৃথিবী। আর এর কৃতিত্ব স্মার্টফোনের। এই ফোনের চমকপ্রদ সব সুবিধা নিয়ে সবাই যখন খুব ব্যতিব্যস্ত, ঠিক তখন চিন্তা করুন এমন এক ফোন, যেখানে রয়েছে শুধুমাত্র কল করার সুবিধা। এটি স্মার্টফোনের ঠিক উল্টো এই ফোনের নাম ‘লাইটফোন’।
কেবলমাত্র ফিচারের দিক থেকেই নয়, ডিজাইনের দিক থেকেও একদম সাদামাটা এই ‘লাইটফোন’। ক্রেডিট কার্ডের সাইজের এই ফোনটি বেশ পাতলা। তাই খুব সহজে আপনি আপনার মানিব্যাগ কিংবা পার্সেও ‘লাইটফোন’ বহন করতে পারবেন। এই ‘লাইটফোন’ ব্যবহার করার জন্য আপনার প্রয়োজন শুধু একটি সিমকার্ড। শুধু কল করতে ও ধরতে পারবেন লাইটফোনের সাহায্যে। তবে ইন্টারনেট ব্রাউজিং, মেসেজিং কিংবা গেম-কোনো কিছুরই দেখা মিলবে না স্মার্টফোনের বিকল্প এই সংস্করণটিতে।
কিন্তু বড় একটি সুবিধা থাকছে এই ‘লাইটফোন’টিতে। একবার চার্জ দিলে ‘লাইটফোন’ ব্যবহার করা যাবে অন্তত ২০ দিন পর্যন্ত! তবে দামের ব্যাপারে অবশ্য ছাড় দেয়নি ‘লাইটফোন’। এটি কিনতে চাইলে আপনাকে গুনতে হবে ১০০ ডলার যা বাংলাদেশী টাকায় ৮ হাজারের মতো।
জানা গেছে, এই লাইটফোনের নির্মাতা জো হোলিয়ার ও কাওয়ে ট্যাং। তারা গুগলের ‘থার্টি উইকস ইনকিউবেটর’ প্রজেক্টের অধীনেই এই ফোনের ডিজাইন করেছেন। কিন্তু যখন মানুষ আরও বেশি সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন পণ্যের দিকে ঝুঁকে পড়ছে, তখন কেনো এই ফোনের প্রতি আকৃষ্ট হবে? আর কেনোই বা এই ধরনের একটি ফোন নির্মাণের ধারণা এলো তাদের মাথায় সেটিও বোধগম্য নয়।
উল্লেখ্য, সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ২০১৬ সাল হতে বাণিজ্যিকভাবে ‘লাইটফোন’ উৎপাদন শুরু হবে। নিরূপদ্রব প্রযুক্তি ব্যবহারে যাদের আগ্রহ বেশি, তাদের মধ্যে খুব সহজেই জনপ্রিয়তা পাবে নতুন প্রযুক্তির এই ‘লাইটফোন’- এমনটিই আশা করছেন নির্মাতারা।