দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ক্ষণে ক্ষণে হাই ওঠা খুবই বিরক্তিকর বিষয়। সারারাত ঘুমানোর পরেও সকালে অফিসে গিয়ে বা ক্লাসে গিয়েও উঠতে থাকে হাই। এই অবাঞ্ছিত হাই থেকে রেহাই পেতে জেনে নিন কিছু টিপস।
কিছুতেই যেনো হাই এর হাত থেকে রেহাই পাওয়া যাচ্ছে না। না চাইতেই যেনো হাই উঠছে তো উঠছেই। সেই সময় হাই তোলার জন্য যথেষ্ট কথা শুনতে হয় অনেক সময়। যখনই এই অবাঞ্ছিত হাই আপনাকে উত্ত্যক্ত করে তোলে তখন মেনে চলুন কিছু টিপস:
নাক দিয়ে নিঃশ্বাস নিয়ে মুখ দিয়ে ছাড়তে হবে
শরীরে অক্সিজেনের অভাব হলেও অনেক সময় হাই ওঠতে পারে। সেজন্য নাক দিয়ে নিঃশ্বাস নিন ও মুখ দিয়ে ছেড়ে দিন। দেখবেন আস্তে আস্তে হাই ওঠা কমে যেতে পারে। এইভাবে আপনার শরীরের অক্সিজেনের পরিমাণ স্বাভাবিক হয়ে যাবে। যখন নিঃশ্বাস নেবেন তখন জোরে জোরে নিঃশ্বাস নিন।
ঠাণ্ডা পানীয় খেতে পারেন
যখন হাই উঠবে তখন ঠাণ্ডা পানি বা কোনো ধরনের কোল্ড ড্রিংস খান। সোডা ও কার্বোনেটেড পানীয় হাই বন্ধ করতে পারে। যখন ক্লাসে বা অফিসে আসবেন তখন বোতলে করে ঠাণ্ডা পাডিন নিয়ে যাবেন।
ঠাণ্ডা খাবার খান
ঠাণ্ডা খাবারও খুবই কার্যকরী একটি জিনিস। যেমন ফ্রিজ থেকে বের করা খাবার বা ফল ইত্যাদি। এছাড়াও ঠাণ্ডাজনিত সমস্যা না থাকলে আইসক্রিমও খেতে পারেন। মিষ্টি জাতীয় খাবারও এক্ষেত্রে খুব ভালো। এটা আপনার শরীরের শর্করার পরিমাণ বাড়িয়ে ক্লান্তিকে দূর করতে সক্ষম।
কর্মসূচী গ্রহণ করুন
এই হাই থেকে মুক্তি পেতে একটি কর্মসূচী বানিয়ে নিতে পারেন। যার মাধ্যমে প্রতিদিন এক সময় খাওয়া, ঘুমানো ইত্যাদি কাজ গুলিও করতে পারবেন। তাহলে দেখবেন এই কর্মসূচীকে আপনার শরীর তখন মানিয়ে নেবে, আর কোনও ক্লান্তি, হাই কোনও কিছুই তখন আপনাকে ছুঁতে পারবে না। এ ছাড়াও ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমানোর চেষ্টা করতে হবে। ঘুম ঠিক হলে শরীর ঠিক থাকবে।
মাঝে-মধ্যে হাঁটুন
একভাবে বসে কাজ করার কারণেও অনেক সময় ক্লান্তি আসতে পারে। যার জেরে হাই ওঠতে পারে। তাই একইভাবে অনেক্ষণ কাজ না করে কাজের ফাঁকে কিছুটা হেঁটে নিতে হবে। এতে করে দেখবেন ক্লান্তি লাগবে না। বরং কাজে আরও স্পৃহা আসবে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।