দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেকের নতুন জুতো পরলেই পায়ে ফোস্কা পড়ে। তবে এই সমস্যারও সমাধান রয়েছে। কীভাবে? আজ সেই বিষয়টি জেনে নিন।
নতুন জুতো পরলেই পায়ে ফোস্কার সমাধানে যা করবেন তা হলো, ফোস্কা নিরাময়ের জন্য অ্যাপ্ল সাইডার ভিনিগার ব্যবহার করতে পারেন। এর অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল বৈশিষ্ট্য প্রদাহ-ব্যথা কমাতেও সাহায্য করে।
এই সমস্যা একজনের নয়। এই সমস্যায় নাজেহাল হন কমবেশি অনেকেই। এই অবস্থায় কয়েকটি ঘরোয়া উপায় মেনে চললে দ্রুত এই সমস্যা থেকে রেহাই পেতে পারেন খুব সহজেই।
# অ্যালোভেরা ফোস্কা সারিয়ে তুলতে দুর্দান্ত কার্যকর একটি জিনিস। অ্যালোভেরার অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য ক্ষতস্থানের ফোলাভাব ও প্রদাহ কমাতে সহায়তা করে থাকে। ফোস্কাতে ভালো করতে অ্যালোভেরা জেল লাগিয়ে তারপর শুকিয়ে নিন। জেল শুকিয়ে গেলে ঈষদুষ্ণ পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দিনে অন্তত ৩ বার লাগালেই অনেকটা আরাম পাবেন।
# গ্রিন টি-তে থাকে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য। এটি ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের ভালো একটি উৎস। গরম পানিতে বেকিং সোডা মিশিয়ে একটি টি ব্যাগ ডোবান। এরপর ব্যাগটি ঠাণ্ডা হতে দিন। তারপর টি ব্যাগটি নিয়ে ফোস্কার জায়গায় বেশ কিছুক্ষণ লাগিয়ে রেখে দিন। বেকিং সোডাতে রয়েছে অ্যান্টিসেপটিক বৈশিষ্ট্য, যা সংক্রমণ প্রতিরোধ করতেও সহায়তা করে। দিনে ২ থেকে ৩ বার এই প্রক্রিয়াটি করলে পাবেন সুফল।
# আপনি ফোস্কা নিরাময়ের জন্য অ্যাপ্ল সাইডার ভিনিগার ব্যবহার করতে পারেন। এর অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য প্রদাহ-ব্যথা কমাতে সাহায্য করে থাকে। এটি সংক্রমণের বিস্তার হতে দেয় না।।
# আবার আপনি ক্ষত স্থানে নারকেল তেল লাগাতে পারেন। নারকেল তেল এক ধরনের ফ্যাটি অ্যাসিড, যা ত্বককে আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে থাকে। নারকেল তেল টিস্যু মেরামতের পাশাপাশি, ক্ষতস্থান দ্রুত নিরাময় করতেও সহায়তা করে থাকে।
# ফোস্কার ব্যথা কমাতে লবণ ব্যবহার করতে পারেন। উষ্ণ পানিতে এক চামচ পরিমাণ লবণ মিশিয়ে নিন। এখন সেই পানি দিয়ে ফোস্কার জায়গায় সেঁক দিন । এই উপায় ফোস্কার যন্ত্রণা এবং ফোলাভাব কমে যেতে পারে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।