দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুধুমাত্র সুস্বাদুই নয়, পেয়ারা পুষ্টিগুণেও ভরপুর একটি ফল। পেয়ারার রয়েছে নানা গুণাগুণ। তাই প্রতিদিন পেয়ারা খান সুস্থ থাকুন।
সবুজ এই ফলটিতে রয়েছে আঁশ, পানি, কার্বহাইড্রেট, প্রোটিন, ভিটামিন এ, ভিটামিন কে, পটাশিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালসিয়াম ইত্যাদি খাদ্য পুষ্টি উপাদান রয়েছে। এছাড়াও এতে আরও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি এবং খনিজ পদার্থ।
পেয়ারার নানা উপকারিতা আজ তুলে ধরা হলো:
# পেয়ারাতে রয়েছে ইনফেকশনরোধী উপাদান যা হজমক্রিয়া আরও শক্তিশালী করে।
# উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখতে পেয়ারার জুড়ি নেই।
# পেয়ারা রক্তসঞ্চালন ভালো রাখে। যে কারণে হার্টের রোগীরা পেয়ারা নিয়মিত খেতে পারেন।
# অ্যাজমা, ঠাণ্ডা-কাশিতে কাঁচা পেয়ারার জুস বেশ খুবই উপকারী। এইসব সমস্যা হতে মুক্তি পেতে মাঝে মধ্যেই পেয়ারা খেতে পারেন।
# পেয়ারা ডায়াবেটিস, ক্যান্সার, প্রস্টেট ক্যান্সারের মতো কঠিন এবং জটিল রোগ প্রতিরোধেও সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
# ওজন কমাতে হলে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে ও মুখের রুচি বাড়াতেও জুড়ি নেই এই পেয়ারার। তাই যারা পেটের সমস্যায় ভুগছেন তারা নির্দ্বিধায় পেয়ারা খেতে পারেন।
# পেয়ারা ত্বক, চুল ও চোখের পুষ্টি জোগাতে সাহায্য করে।
# পেয়ারাতে প্রচুর পরিমাণে ময়েশ্চার রয়েছে যা তারুণ্য ধরে রাখে র্দীঘদিন। ত্বকের রুক্ষ ভাব দূর করে এবং শীতে পা ফাটা রোধ করে এই পেয়ারপা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।