দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ইদানিং মোবাইল ফোনের চার্জারও নকল হচ্ছে। আসল ফোনের চার্জারের নামে বিক্রি হচ্ছে নকল চার্জার। মোবাইলের চার্জার আসল নাকি নকল তা চিনবেন কীভাবে? আজ জেনে নিন সেই বিষয়টি।
মোবাইলের নকল চার্জার কিনে তা ব্যবহার করলে মোবাইলের ক্ষতি হতে পারে, এমনকি ফোন বিস্ফোরিতও হতে পারে। তাই ফোনের চার্জার আসল নাকি নকল তা কিভাবে চিনবেন সেই বিষয়টি নিয়েই এই প্রতিবেদন।
স্যামসাং
স্যামসাংয়ের চার্জার আসল ও নকল চার্জারের মধ্যে পার্থক্য করা বেশ কঠিন একটি বিষয়। মূলত চার্জারের উপর একটি লেখা প্রিন্ট করা থাকে। একটু ভালো করে লক্ষ্য করুন, এ প্লাস, মেইড ইন চায়না লেখার সঙ্গে চার্জারের বৈশিষ্ট্য লেখা রয়েছে কিনা। যদি তেমনটি হয় তাহলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এটি নকলই হয়ে থাকে।
আইফোন
আইফোনের নকল চার্জার খোলা বাজারে সব সময় বিক্রি হয়। কীভাবে বুঝবেন কোনটি নকল? আর কোনটি আসল চার্জার? আসল চার্জারে ‘ডিসাইনড বাই অ্যাপল ইন ক্যালিফোর্নিয়া’ কথাটি লেখা থাকে। নকল চার্জারে অ্যাপেলের যে লোগোটি থাকে সেটির রং অপেক্ষাকৃত কালো দেখা যায়। তাই কেনার আগে ভালোভাবে দেখে নিতে হবে।
শাওমি
শাওমির চার্জারটি হাতে নিয়েই কেবলটি কতো বড় তা মেপে নিন। যদি তা ১২০ সেন্টিমিটারের চেয়ে কম হয়ে থাকে এবং অ্যাডাপ্টরটি তুলনামূলক বড় হয়ে থাকে, তাহলে সেটি মোটেও আসল চার্জার নয়।
ওয়ান প্লাস
ওয়ান প্লাসের নকল চার্জার চেনাটা অবশ্য তেমন কঠিন নয়। ড্যাশ চার্জার দিয়ে ফোনটি চার্জ করতে গেলে জ্বলে উঠবে ফ্ল্যাশ। যদি দেখেন ফ্ল্যাশ না জ্বলে স্ক্রিনে শুধু চার্জিংয়ের সিগন্যালটিই দেখাচ্ছে, তাহলে চোখ বন্ধ করে বুঝে যান সেটি নকল চার্জার।
গুগল পিক্সেল
গুগল পিক্সেল ফোনের চার্জারে অত্যন্ত দ্রুত ফোন চার্জ হয়ে থাকে। যদি দেখেন চার্জ হতে অনেক সময় লাগছে তাহলে বুঝবেন সেটি নিঃসন্দেহে নকল চার্জার।
হুয়াওয়ে
হুয়াওয়েরও আসল চার্জার চেনা খুব সহজ। চার্জারে যে তথ্য প্রিন্ট করা থাকে তার সঙ্গে চার্জারের উপরের বারকোডের তথ্যটি ভালো করে মিলিয়ে দেখুন। মিলে গেলেই সেটি আসল চার্জার। না মিললে সেটি নকল চার্জার।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।