দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমাদের সকলের প্রত্যাশা থাকে যাতে সন্তানরা সঠিক হাইট বা লম্বা হতে পারে। কিন্তু সেই প্রত্যাশা কী সব সময় পূরণ হয়? তবে ইচ্ছে করলে নিয়ম মেনে চললে তা হতে পারে। কিন্তু কীভাবে?
সন্তানদের পারফেক্ট হাইট পেতে হতে এর জন্য দরকার কৌশল। যাদের জিনেই লম্বা হওয়ার রসদ রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে বিষয়টি একেবারেই আলাদা। তবে যাদের সেটিনেই, তাদের একটু পরিশ্রম করতে হবে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় স্কিপিং, দৌড় ঝাঁপ, ঘণ্টার পর ঘণ্টা করেও কোনও ফল পাওয়া যাচ্ছে না। তখনই সন্তানের উচ্চতা নিয়ে ভাবতে শুরু করেন বাবা-মায়েরা।
তবে একটি বিষয় মনে রাখবেন, উচ্চতার জন্য প্রয়োজন পুষ্টি ও ব্যায়াম। অনেক সময় ১৮ বছর বয়সের পরও লম্বা হওয়ার সুযোগ থাকে। উচ্চতার উপর হরমোনের প্রভাবও রয়েছে। হরমোনজনিত কারণে অনেকের হাইটই কম বেশি হয়ে থাকে। ১৬ বছরের পর মেয়েদের উচ্চতা আর খুব একটা তেমনভাবে বাড়ে না। সন্তানরা যদি খেলা ধূলোর মধ্যে থাকে, তাহলে ১৮ বছর পর্যন্তও উচ্চতা বাড়ার সুযোগ থেকে যায়।
কি কি কারণে উচ্চতা বাড়ায় ব্যঘাত ঘটতে পারে:
# শিরদাঁড়াতে চোট থাকলে উচ্চতা বাড়তে ব্যঘাত ঘটতে পারে।
# পেশির গঠনের ওপরও অনেকটা নির্ভর করে উচ্চতার বিষয়টি। শরীরে অপুষ্টি থাকলেও উচ্চতা বাড়ে না।
# যেসব ছেলে-মেয়েদের উচ্চতা প্রথম থেকেই কম, তাদের ক্ষেত্রে ১৮ বছর বয়সের মধ্যেই লম্বা হওয়ার যাবতীয় কৌশল প্রয়োগ করে ফেলতে হবে। রুটিনের মধ্যে নিয়ে আসতে হবে তাদের জীবনযাত্রা।
# তবে ১৮ বছরের পরও ডায়েট চার্টে রাখুন ক্যালশিয়াম, ভিটামিন বি ১২, ভিটামিন ডি, প্রোটিনে ভরা খাবারগুলো।
# নিয়মিত খেলাধূলা ও শরীর চর্চায় অভ্যস্ত গড়ে তুলতে হবে। আবার অ্যারোবিক ডান্সের অভ্যাস করতে পারলেও খুবই ভালো।
# ঘুমের ব্যঘাত ঘটানো যাবে না, পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম অত্যন্ত দরকারি। হরমোনের সমস্যা থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
# মেয়েদের বা ছেলেদের বয়স যখন ১৪ হতে ১৫ বছরের মধ্যে হয়, তখন থেকেই শুরু করে দিতে হবে এই রুটিন।
# প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত কারও কাছে শিখে নিয়মিত যোগ ব্যায়াম করাতে হবে। নিয়মিত যোগাভ্যাসেও উচ্চতা বাড়তে পারে। এগুলো করার মাধ্যমে আপনার সন্তানকে সঠিকভাবে উচ্চতা দিতে পারবেন আশা করা যায়।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।