দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা অনেকেই নিয়ম না মেনেই ইচ্ছে মতো কন্ডিশনার ব্যবহার করে থাকি। এতে ভালোর থেকে আমাদের চুলের আরও খারাপ হতে পারে। তাই নিয়ম জেনেই ব্যবহার করুন কন্ডিশনার।
আমরা সবাই জানি চুলের যত্নে শ্যাম্পুর ব্যবহার অপরিহার্য। মূলত শ্যাম্পুও এক ধরনের সাবান। তাই শ্যাম্পু করার পরও চুলের সঠিক যত্ন নিশ্চিত হয় না বেশির ভাগ সময়। সেজন্যই আমরা শ্যাম্পু করার পর চুলে কন্ডিশনার ব্যবহার করে থাকি। তবে সব চুলে সব ধরনের কন্ডিশনার মানায়ও না। একেক ধরনের চুলের জন্য একেক রকম কন্ডিশনার রয়েছে। তাই চুলে কন্ডিশনার ব্যবহারের পূর্বে চুলের ধরন অনুযায়ী আপনাকে কন্ডিশনার বেছে নিতে হবে। আজ জেনে নেওয়া যাক কোন চুলের জন্য কোন কন্ডিশনার ব্যবহার করা উচিত।
তৈলাক্ত চুলে
তৈলাক্ত চুলে আপনি কেমন কন্ডিশনার ব্যবহার করবেন। সাধারণত তৈলাক্ত চুলে এমন কন্ডিশনার ভালো, যাতে ফ্যাটি এসিড অনেক কম থাকে।
রুক্ষ্ম চুল
রুক্ষ্ম চুলে ময়েশ্চার এবং প্রোটিনসমৃদ্ধ কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। ভিটামিন-ই অ্যালোভেরাসমৃদ্ধ কন্ডিশনারও শুষ্ক চুলের জন্য বেশ ভালো।
কোঁকড়ানো চুল
সাধারণত কোঁকড়ানো চুলের স্ক্যাল্পের অয়েল চুলের শেষ প্রান্তে এসে পৌঁছায় না। এই ধরনের চুলের জন্য ডিপ কন্ডিশনার ব্যবহার করা উচিত, যা চুলের ময়েশ্চার বজায় রাখতে সাহায্য করে। এই চুলের জন্য জোজোবা অয়েল ও অ্যাভোকাডোসমৃদ্ধ কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।
কালার চুল
কালার চুলের জন্য যেসব কন্ডিশনার বাজারে পাওয়া যায় সেগুলো ব্যবহার করাই ভালো। হারবাল কন্ডিশনার এই ধরনের চুলের জন্য খুবই ভালো।
স্বাভাবিক চুল
বেশ কয়েক দিন চুল পরিষ্কার করার পরও যদি জট না পড়ে কিংবা ভেঙে না যায়, তাহলে বুঝবেন আপনার স্বাভাবিক চুল। এই ধরনের চুলের জন্য লিভ অন কন্ডিশনারই আদর্শ।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।