দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গৃহকর্মীকে নির্যাতনের অভিযোগে চিত্রনায়িকা একা আটক হয়ে কারাগারে রয়েছেন। কিন্তু তার চেহারা দেখে বোঝার উপায় নাই তিনি একা। কেনো তার এই পরিণতি?
তাকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের হাতিরঝিল থানা পুলিশ। এই সময় তার বাসা থেকে ইয়াবা-বিদেশী মদসহ মাদক উদ্ধার করা হয়। তাকে গ্রেফতারের পর যেনো আগের সেই নায়িকার সঙ্গে বর্তমান একাকে কোনোরকমভাবেই চেনাই যায়নি। অন্ধকার জগতে পা বাড়িয়ে এই নায়িকার বর্তমান অবস্থা একেবারে ভয়াবহ।
তোজাম্মেল হক বকুল পরিচালিত ‘রাখাল রাজা’ ছবির মাধ্যমে শাহিদা আরবী সিমন নাম নিয়ে ঢাকার চলচ্চিত্রে আগমন ঘটে একার। সেটি ১৯৯৭ সালের কথা।
পরের বছরই প্রয়াত সুপারস্টার মান্নার জুটি হিসেবে ‘তেজী’ ছবির মাধ্যমে নিজের ক্যারিয়ারের তেজ বাড়াতে সক্ষম হন একা। তারপরই একা নাম ধারণ করে নিয়েছিলেন। ডিপজল প্রযোজিত ও কাজী হায়াৎ পরিচালিত তেজী ছবিটিই একাকে চিত্রনায়িকা হিসেবে তারকা খ্যাতি এনে দিয়েছিলো।
পরে নিজের সমসাময়িক প্রায় সব তারকা নায়কদের সঙ্গে জুটি বেঁধে অভিনয় করে হিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন নায়িকা একা। তবে তিনি সবচেয়ে সফল ছিলেন নায়ক মান্নার সঙ্গেই। মান্নার সঙ্গেই টানা ২০-২৫টির মতো ছবি মুক্তি পায় নায়িকা একার। ঢাকাই চলচ্চিত্রের শাকিব খানের সঙ্গেও অভিনয় করেছেন একা।
ওই সময় এই জুটিকে লুফে নিয়েছিলেন সিনেমার দর্শকরা। তবে ২০১২ সালের পর অনেকটা হুট করে চলচ্চিত্র জগৎ থেকে একা দূরে সরে যান। তার সর্বশেষ সিনেমা হলো কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘পাগলা হাওয়া’। এই ছবিটি মুক্তি পায় ২০১২ সালে। তবে অনেকেই বলেন মান্নার মৃত্যুর পরেই নাকি একা নিজেও একা হয়ে যান, অর্থাৎ নিজেকে গুটিয়ে নেন।
তারপর বেরিয়ে আসে, একার জীবনের আরেক নতুন গল্প। এ যেনো অচেনা এক একা। নিয়মিত মাদক সেবন করায় স্বাভাবিক জীবন তার প্রায় তছনছ হয়ে যায়। এর ছাপ পড়েছে তার চেহারাতেও। মাদকাসক্ত হওয়ার কারণে তাকে এখন আর চেনা যায় না।
হাজেরা বেগম নামে এক গৃহকর্মী মাসে ৫ হাজার টাকায় একার বাসায় ৩ মাস ধরে ছুটা কাজ করে আসছিলেন। বাসা পরিবর্তনের সময় হাজেরাকে অতিরিক্ত কাজ করার কথা বলেন একা।
তখন হাজেরা বলেন যে, আগে অবহিত না করায় হঠাৎ বাড়তি কাজ করা তার পক্ষে সম্ভব হবে না। অন্য যেসব বাসায় তিনি কাজ করেন, তারা তখন বিপদে পড়বেন। এক পর্যায়ে হাজেরা তার বর্তমান মাসের বেতন চান। তবে আগের দু’মাসের বেতন পরিশোধ করেন অভিনেত্রী।
তারপর একা ক্ষিপ্ত হয়ে ওই গৃহকর্মীকে বেদম মারধর করেন। খবর পেয়ে প্রতিবেশী এবং আশপাশের লোকজন একার বাসা ঘেরাও করেন। তারা তখন ৯৯৯-এ কল করেন। তারপর পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে একা ঘরের ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে রাখেন। পরে আশপাশের লোকজন এবং পুলিশ মিলে দরজা কোনোমতে ভেঙে একাকে আটক করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, একার বাসায় অভিযান চালিয়ে ৫ পিস ইয়াবা, ৫০ গ্রাম গাঁজা ও অর্ধেক বোতল মদ পাওয়া যায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি প্রায় নিয়মিত ইয়াবা সেবনের কথা স্বীকারও করেন।
সেকারণেই তার এই অবস্থা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, দুই সন্তান নিয়ে উলনের বাসায় বসবাস করতেন একা। সর্বশেষ আলেকজান্ডার বো-কে একা বিয়ে করেছেন বলেও পুলিশকে জানিয়েছেন।
একজন নায়িকা মাত্র ৮-৯ বছরের ব্যবধানে এতোটা পরিবর্তন ঘটতে পারে তা না দেখলে কেও হয়তো বিশ্বাস করতেন না। তবে নেশা মানুষকে কোন পর্যায়ে নিয়ে যায় তার একটি জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত হয়ে উঠে এসেছে চিত্রনায়িকা একার এই ঘটনাটি। যা সত্যিই দু:খজনক বটে। নেশা আমাদের সমাজকে আজ কোন পথে নিয়ে যাচ্ছে তা বলে শেষ করা যাবে না। তাই নায়িকা একার এই ঘটনা দেখে সমাজের নেশাগ্রস্থদের শিক্ষা নেওয়া উচিত। এই মরণ নেশা থেকে সকলকেই বিরত থাকা একান্ত প্রয়োজন।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।