দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ঠোঁট হলো মুখের সৌন্দর্যের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। সুন্দর গোলাপী ঠোঁট বিশেষ করে নারীকে করে তোলে আকর্ষণীয়। তবে এই ঠোঁট রুক্ষ্ম ও শুষ্ক হলে আপনি তখন কী করবেন? জেনে নিন বিষয়টি।
ঠোঁটের প্রধান শত্রুই হলো রুক্ষ্মতা। শীত না থাকলেও বাতাসের শুষ্কতা দেখা যায় অনেক সময়। যে কারণে ঠোঁট হয়ে ওঠে রুকয্মে, শুষ্ক, প্রাণহীন নিষ্প্রভ। ভ্যাসলিন কিংবা গ্লিসারিন লাগানোর পরও এই রুক্ষতা দূর হতে চাই না। আবার অনেকেই সারাবছর ঠোঁটের রুক্ষ্মতার সমস্যায় ভোগেন। সাধারণত ভিটামিনের অভাব, পানিশূন্যতা, অ্যালার্জির কারণ, আবহাওয়ার পরিবর্তন ইত্যাদি কারণে সারা বছরই ঠোঁট ফাটতে থাকে। ঘরোয়া উপায়ে এই ধরনের সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। কীভাবে এটি দূর করতে সেই উপায়গুলো জেনে নিন।
মধু ব্যবহার
অসাধারণ নিরাময় ক্ষমতা রয়েছে মধুর। ঠোঁটের উপর মধু সরাসরি ব্যবহার করতে হবে। এরপর ১৫ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। তারপর পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। মধু বেশি আঠালো মনে হলে মধুর সঙ্গে পানি মিশিয়ে নিয়ে তা ব্যবহার করতে পারেন।
নারকেল তেল
সবচেয়ে সহজলভ্য একটি উপাদান নারকেল তেল। ত্বকের রুক্ষ্মতা দূর করতে আদিকাল থেকেই এটি ব্যবহার হয়ে আসছে। নারকেল তেলের ময়েশ্চারাইজিং উপাদান ঠোঁট ফাটা রোধ করতে সক্ষম। এমনকি পা ফাটা দূর করতেও নারকেল তেল খুব ভালো কাজ করে।
দুধ ব্যবহার
দুধও ব্যবহার করতে পারেন। কারণ ত্বক ময়েশ্চারাইজার করতে দুধ বেশ কার্যকর। রুক্ষ্ম ঠোঁটের উপর খানিক পরিমাণ দুধ ব্যবহার করুন। দুধ ও গোলাপের পাপড়ি একসঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিতে পারেন। এই মিশ্রণটি ঠোঁটে ব্যবহার করতে পারেন। ১৫-২০ মিনিট রাখুন। এরপর পানি দিয়ে তা ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে এটি ঠোঁটে এক ধরনের গোলাপী আভা তৈরি হবে।
দুধের সর ব্যবহার
প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট রয়েছে দুধের সরে। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার ঠিক আগে ঠোঁটে কিছু পরিমাণ দুধের সর লাগিয়ে নিন। সারারাত এভাবেই রাখুন। পরের দিন সকালে পানি দিয়ে ভালো করে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এটি প্রতিদিন ব্যবহার করতে হবে। এতে করে ঠোঁট ফাটা সমস্যা হতে চিরতরে মুক্তি পেয়ে যাবেন।
চিনির স্ক্রাব ব্যবহার
মৃত চামড়ায় মূলত রুক্ষ্ম, শুষ্ক ঠোঁটের জন্য দায়ী। রুক্ষ্ম, শুষ্ক চামড়া দূর করার জন্য স্ক্রাব সবচেয়ে বেশি কার্যকর একটি জিনিস। ঠোঁটের জন্য চিনি ও মধুর স্ক্রাবই সবচেয়ে ভালো। মধুর সঙ্গে কিছু পরিমাণ চিনি মিশিয়ে নিতে হবে। এটি ঠোঁটে চক্রাকারে ম্যাসাজ করতে হবে। সপ্তাহে অন্তত একবার এটি ব্যবহার করতে হবে।
গ্লিসারিন ব্যবহার
ঠোঁট নরম করতে প্রতিদিন গ্লিসারিন ব্যবহার করা যেতে পারে। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার ঠিক আগে ঠোঁটে গ্লিসারিন ব্যবহার করুন। সকালে পানি দিয়ে ভালো করে ঠোঁট ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন এটি ম্যাজিকের মতো কাজ করছে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।