দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সকালে ঘুম থেকে উঠেই যে জিনিসগুলির সবেচেয়ে বেশি প্রয়োজন পড়ে, তার মধ্যে অন্যতম হলো টুথপেস্ট। এই টুথপেস্টের ভালো মন্দ নির্ধারণ করতে হবে আপনাকেই।
এই টুথপেস্টের কল্যাণেই আমাদের মহা মূল্যবান দাঁতগুলো সুস্থ থাকে। বাজারে হরেক রকমের টুথপেস্ট রয়েছে। তবে কোনটি আপনার দাঁতের পক্ষে ভালো হবে তা কীভাবে বুঝবেন? তাই আপনাকে কয়েকটি বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।
# অনেকের দাঁতেই দাগ-ছোপের সমস্যাও থাকে। বিশেষ করে যারা ধূমপান করেন কিংবা যাদের পান খাওয়ার সমস্যা বেশি থাকে, তাদের বেকিং সোডা দেওয়া টুথপেস্ট ব্যবহার করায় ভালো। বেকিং সোডায় দাঁতের দাগ দূর হয়ে যাবে। যদি টুথপেস্টের প্যাকেটে বেকিং সোডার পরিমাণ দেওয়া থাকে তাহলে খুব ভালো।
# সময়ের আগেই কী আপনি মাড়ির রোগ রুখতে চান? তাহলে আপনাকে অ্যান্টি ব্যাক্টিরিয়াল টুথপেস্ট কিনতে হবে। এতে জিনজিভাইটিস বা মাড়ির রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে। বাজারে গাম কেয়ার বা অ্যান্টি-জিনজিভাইটিস দেওয়া টুথপেস্ট দেখে কিনতে হবে।
# অনেকেরই দাঁত খুব সংবেদনশীল হয়ে থাকে। গরম চা-কফি বা ঠাণ্ডা আইসক্রিম খেলেই দাঁত ঝনঝন করে ওঠে। এমন মানুষদের জন্য বিশেষ টুথপেস্টও রয়েছে। পটাশিয়াম নাইট্রেট কিংবা স্ট্রোনিয়াম ক্লোরাইড দেওয়া টুথপেস্ট ব্যবহার করাই ভালো। এটি দাঁতের সংবেদনশীলতা কমায়। অবশ্য তাতে কিছুটা সময়ও লাগে।
# অনেকেই ফেনাযুক্ত টুথপেস্টই বেশি পছন্দ করেন। তারা সোডিয়াম লরেল সালফেটযুক্ত টুথপেস্ট ব্যবহার করতে পারেন। এতে করে প্রচুর ফেনা হবে।
# অনেকেই মুখের ফ্রেশনেস এবং সুগন্ধের উপরই বেশি জোর দিয়ে থাকেন। এই ক্ষেত্রে আপনারা মিন্টযুক্ত টুথপেস্ট ব্যবহার করতে পারেন অনায়াসে।
# ট্রাইক্লোসান, জিঙ্ক সাইট্রেট ও ফাইরোফসফেটযুক্ত পেস্টও ব্যবহার করতে পারেন। এতে করে দাঁতের ওপরের ব্যাকটেরিয়ার আবরণ ধ্বংস হবে। সেইসঙ্গে ছাতা পড়ার প্রবণতাও কমবে।
# প্রাকৃতিক উপাদানের কোনোও বিকল্প হতে পারে না। এতে কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও থাকে না। হারবাল টুথপেস্ট খুঁজে পেতে আপনাকে বেশি বেগ পেতে হবে না।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।