শোবার ঘরে প্রশান্তি আনতে যা করবেন

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সারাদিনের কর্মশেষে যখন ঘরে ফেরা হয়, তখন ঘরে একটা প্রশান্তির প্রয়োজন পড়ে। তাই ঘরে প্রশান্তি আনতে আপনাকে কিছু কাজ করতে হবে। জেনে নিন সেই বিষয়গুলো।

শোবার ঘরের সাজসজ্জায় প্রয়োজন খানিকটা বাড়তি মনোযোগ দেওয়া দরকার। কারণ সারাদিনের ক্লান্তি শেষে ঘরে ফিরে আপনাকে একটু রিল্যাক্স করতেই হবে। প্রথমতো অপ্রয়োজনীয় বা অতিরিক্ত আসবাবপত্র এই ঘরে না-থাকাই ভালো। এতে করে ঘরটা খোলামেলা থাকবে, যে কারণে বাতাস চলাচলেও সুবিধা হবে।

দেওয়ালের যে রঙ করবেন

দেওয়ালের রঙ হালকা অথচ উজ্জ্বল এমন রঙ ব্যবহার করাই ভলো। এতে আপনার ঘরের পরিবেশটা বেশ খানিকটা মোহনীয় লাগবে। উজ্জ্বল সাদা, চাপা সাদা, হালকা সবুজ, হালকা গোলাপি, নীল ইত্যাদি রঙ আপনার শোবার ঘরের জন্যই হবে মানানসই। আপনার ব্যক্তিগত রুচির সঙ্গে যায় এমন রঙটিই বেছে নিতে হবে।

ঘরে আলোর ব্যবস্থা

আপনার শোবার ঘরের জন্য হালকা এবং উষ্ণ আলোর ব্যবহারই হবে আরামদায়ক। চাইলেই ঘুমানোর সময় মৃদু আলোর ব্যবহার করতে পারেন। সম্ভব হলে ঘরের জানালাও বন্ধ রাখতে হয়, এমন স্থানে কোনো আসবাব না রাখাই ভালো হবে।

আসবাবপত্র

আপনার শোবার ঘরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো বিছানা। আলমারি, ড্রেসিং টেবিল, ওয়ারড্রব ইত্যাদি ফার্নিচারও এই ঘরে স্থান পায়। তবে যতোটা সম্ভব কম আসবাবপত্র ব্যবহার করলেই এই ঘরে স্বাচ্ছন্দ্যে চলাচল করা সম্ভব।

দেওয়ালসজ্জা করবে যেভাবে

আপনার শোবার ঘরের সবচেয়ে দীর্ঘ দেওয়ালে ইচ্ছে করলেই আপনার পরিবারের সবচেয়ে মিষ্টি মুহূর্তটিকে বড় কোনো ফ্রেমে বাঁধিয়ে রাখতে পারেন, যা আপনাদের প্রিয় সময়গুলোকে আরে বেশি করে মনে করিয়ে দেবে। এছাড়াও চাইলে অন্য কোনো শৌখিন কিছু দেওয়ালসজ্জার উপকরণ রাখতে পারেন। তবে লক্ষ্য রাখবেন তা যেনো দেখতে ভালো লাগে ও আপনার ঘরের আনুসঙ্গিক জিনিসগুলোর সঙ্গে মানানসই হয়।

পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা

আপনার ঘরটিকে সবসময় পরিচ্ছন্ন রাখা একান্ত প্রয়োজন। হালকা সুগন্ধির ব্যবহার আপনার শোবার ঘরকে আরও করে তুলতে পারে আকর্ষণীয়।

অন্যান্য বিষয়

আপনার দেওয়ালের রঙের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ রঙের বিছানার চাদর পাড়তে পারে, ঠিক তেমনই দরজা-জানালার পর্দাও ব্যবহার করতে পারেন। সম্ভব হলে পারিবারিক আড্ডার জন্য মেঝেতে বসার ব্যবস্থাও করতে পারেন। এতে করে সময় কাটবে খুব ভালো।

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়

# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।