দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শোবার ঘরটি যদি গোছালো না থাকে এবং ঘরের সাজগোজ যদি পছন্দ মতো না হয় তাহলে সেই ঘরে শান্তির বাতাস বইবে কীভাবে? তাই কিছু সিদ্ধান্তের কারণে আপনার শোবার ঘরটিও শান্তির নীড় হতে পারে।
লন্ডনভিত্তিক মিনিষ্ট্রি অব কাম নামক একটি হোম ডিজাইন সংস্থার জরিপে দেখা যায়, আপনার ঘরের ডিজাইন ও বাহ্যিক অবস্থা আপনার অনুভূতি নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে থাকে। টাইমস অব ইন্ডিয়া এই বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তাকে এই বিষয়ে কিছু তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
# কখনও সকল জিনিসপত্র একসঙ্গে রাখবেন না। বেশি জিনিসপত্র থাকারও কোনও দরকার নেই। যে সকল জিনিস আশেপাশে থাকলে আপনি অখুশী হবেন, সেগুলো অবশ্যই ঝেটিয়ে বিদায় করুন।
# নিজের ঘরবাড়ি সব সময় পরিষ্কার রাখতে হবে। প্রতিদিন অল্প একটু সময় ব্যয় করে ঘরের ধুলোবালি ঝেড়ে নিতে হবে।
# কোনো ঘর আরামদায়ক হওয়ার জন্য যতোটা সম্ভব প্রাকৃতিক আলোর আনাগোনা থাকতে হবে। কড়া ফ্লুরোসেন্ট লাইট থাকলে এর তীব্র আলো মনের উপরও বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে, তাই সেদিকে দৃষ্টি দিতে হবে।
# আপনার শোবার ঘরটি রাখতে হবে সিম্পল। কারণ শোবার ঘর হলো একটি বাড়ির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। অনেকেই রয়েছেন শোবার ঘরকে রীতিমতো নিজের দামী জিনিসপত্রের আখড়া বানিয়ে ফেলেন। তাই শোবার ঘর হতে সকল ধরনের প্রযুক্তি পণ্যসহ দামী জিনিসপত্র অবশ্যই সরিয়ে ফেলুন।
# আপনার শোবার ঘরে কখনও অতিরিক্ত সাজগোজ করানোর চেষ্টা করবেন না। ঘরের মধ্যে প্রশান্তির ভাব আনার জন্য সারল্যও থাকতে হবে। তাই ঘরকে বেশি রঙচঙে করে সাজানোর কোনো প্রয়োজন নেই। অতিরিক্ত ছবি বা পেইন্টিং ব্যবহার না করে আপনার খুব পছন্দের জিনিসপত্রগুলো রাখার চেষ্টা করুন।
# ঘরের মধ্যে কিছুটা সবুজায়ন করতে পারেন। ঘরের কোণায় কিংবা সুবিধামতো জায়গায় কিছু ফুলের গাছ রাখতে পারেন। বিশেষ করে যে সব গাছ ঘরের মধ্যে অক্সিজেন দিতে সাহায্য করে সেইসব গাছ ঘরের মধ্যে সাজিয়ে রাখতে পারেন। তবে খেয়াল রাখতে হবে যাতে বড় কোনো গাছ বা যেসব গাছে জঙ্গল হয়ে যায় সেগুলো ঘরে না রাখায় ভালো।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।