দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কদবেল আমরা সবাই চিনি। এটি আমাদের অনেকের বেশ পছন্দের হলেও অনেকেই আবার কোনো গুরুত্বই দেন না। কিন্তু এই কদবেলে রয়েছে বহু উপকার। আজ জেনে নিন সেটি।
শীত আসার আগেই বাজারে আসতে শুরু করেছে মনোলোভা কদবেল। কদিন পরই দেখা যাবে রাস্তার পাশে লবণ, মরিচ এবং চিনি দিয়ে কদবেলের আচার বানানোর চেনা সেই দৃশ্য।
সাধারণত আগস্ট থেকে নভেম্বর মাসে এই ফল পেকে থাকে। পাকা কদবেলে রয়েছে প্রচুর প্রোটিন, শর্করা, ফ্যাট, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন সি এবং বি। প্রতি ১০০ গ্রাম মন্ডে ৪৯ ক্যালোরি শক্তিও বিদ্যমান।
দেশি এই ফলের রয়েছে অনেক রকমের স্বাস্থ্য উপকারিতা:
# সর্দি, কাশি, হাঁপানি এবং যক্ষ্মা রোগের উপকার পাওয়া যায়।
# পিত্ত পাথুরিতে কদবেলে কচি পাতার রস ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যায়।
# আঁশবহুল হওয়ায় এটি কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ দূর করতে সাহায্য করে।
# উদ্দীপক, মূত্রবর্ধক, বলকারক এবং যৌনশক্তি বর্ধক গুণও রয়েছে কদবেলে।
# কদবেল বীজ হৃদরোগ নিরাময়েও সহায়ক।
# পেপ্টিক আলসার থেকেও রক্ষা পাওয়া যায়।
# মাড়ি ও গলার ঘায়ে ব্যবহৃত করা যায় কদবেল।
# কদবেল ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেও সহায়তা।
# কদবেল কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।