দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সিঙ্গাপুর সরকার তাদের দেশে মুসলিম নার্সদের হিজাব পরার অনুমতি দিতে যাচ্ছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন লুং নার্সদের ইউনিফর্ম হিসেবে হিজাব যুক্ত করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন।
সেই হিসেবে আগামী নভেম্বর মাস হতে মুসলিম নার্সরা ইউনিফর্ম হিসেবে হিজাব পরতে পারবেন। সিঙ্গাপুরের সংবাদ মাধ্যম টুডে অনলাইনে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
এক খবরে জানা যায়, আগামী নভেম্বর হতে দেশটির চিকিৎসাসেবায় নিযুক্তি মুসলিম নারী চিকিৎসকর্মী এবং নার্সরা হিজাব কিংবা স্কার্ফ পরতে পারবেন। মুসলিম নারীরা হিজাবকে গুরুত্বপূর্ণ পোশাক হিসেবে বিবেচনা করে থাকেন এবং অনেকেই এটাকে গভীর বিশ্বাসের প্রকাশ বলেও মনে করেন বলে দেশটির প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন।
বর্তমানে সিঙ্গাপুরে অনেক সরকারি দায়িত্বপালনকালে নিজস্ব ইউনিফর্ম পরা বাধ্যতামূলক। সেখানে নারীদের হিজাব কিংবা অন্য কিছু পরার কোনো অনুমোদিত নেই।
জাতীয় দিবসের সমাবেশে দেশটির প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন বলেন, বর্তমানে পুরো বিশ্বে বিশেষত সিঙ্গাপুরসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে ইসলামের ধর্মীয় প্রবণতা বেশ শক্তভাবেই ছড়িয়ে পড়েছে এবং এই পরিবর্তন ধীরে ধীরে আসছে। তবে নতুন প্রজন্মের মধ্যে বেশ সুস্পষ্টভাবে তা প্রকাশও পাচ্ছে। তাই মুসলিম নারীদের হিজাব পরার আগ্রহের কথাও সরকার উপলব্ধি করেছে।’
লি সিয়েন আরও বলেন, ‘হিজাব পরা মুসলিম নারীদের দেখে অমুসলিমরা অনেকটা অভ্যস্তও হয়ে গেছেন। তাছাড়া সিঙ্গাপুরের তরুণ প্রজন্ম ধর্মীয় এবং জাতিগত বৈচিত্রকে অন্যদের চেয়ে বেশি গ্রহণ করে থাকে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা প্রথমে নিশ্চিত করবো যে, মুসলিম এবং অমুসলিম সবাই পরিবর্তনের বিষয়টিও উপলব্ধি করেছে। কারণ এই বিষয়টি শুধুমাত্র মুসলিমদেরই নয়, বরং এটি দেশের জাতীয় ইস্যু।’
সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশটির ৭ হাজারের বেশি স্বাস্থ্যকর্মী ইউনিফর্মের নতুন নীতি অনুসরণ করবেন। ইউনিফর্ম হিসেবে শুধুমাত্র স্বাস্থ্যসেবায় নিযুক্ত মুসলিম নারীরা এটি পরতে পারবেন। সিঙ্গাপুরের সশস্ত্র বাহিনী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হোম টিম একাডেমি এবং অন্যান্য পরিষেবাগুলোও আগের মতোই নিজস্ব ইউনিফর্ম পরবেন।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।