দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা জানি হেঁসেল বা রান্না ঘর হলো আমাদের নিত্যদিনের একটি প্রয়োজনীয় স্থান। খাবার তৈরির মূল অনুসঙ্গ হিসাবে রান্নঘরের বিকল্প নেই। হেঁসেলঘরে যে জিনিসগুলো অত্যন্ত দরকারি তা আজ জেনে নিন।
টুকিটাকি জিনিসপত্রগুলো দেখেশুনেই কেনা উচিত। তারপরও যদি হয় নতুন সংসার তাহলে তো এই বিষয়টি আরও বেশি করে খেয়াল করা দরকার।
আজ আমরা জেনে নেবো হেঁসেলঘরে কি কি জিনিস থাকা উচিত:
প্রেশার কুকার
যে কোনো সময় আপনার বাসায় অতিথির আগমন ঘটতে পারে। তখন খুব দ্রুতই শেষ করতে হবে রান্নার আয়োজন। এই আয়োজন শেষ করতে পারে প্রেশার কুকার। যা অতিরিক্ত তাপ এবং চাপ প্রয়োগ করে দ্রুত রান্না করে দিতে সক্ষম। অ্যালুমিনিয়ামের এই আধুনিক হাঁড়িতে সাধারণত গরুর মাংস বা খাসির মাংস রান্না করা হয়। সিঙ্গারের ৪.৫ লিটার থেকে ৬.৫ লিটার ধারণ ক্ষমতার প্রেশার কুকার বাজারে পাওয়া যাবে ১ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৯০০ টাকার মধ্যে।
রাইস কুকার
স্বল্প সময়ে ভাত রান্নার জন্য থাকা উচিত রাইস কুকার। এছাড়াও এতে খিচুড়ি, পোলাও, বিরিয়ানি ও তেহারিও রান্না করা যায়। রাইস কুকারে পরিমাণমতো উপকরণ দিয়ে সুইচ টিপে দিলেই কাজ হয়ে যায়। তখন অন্যান্য কাজে ব্যস্ত হয়ে গেলেও কোনো সমস্যা হয় না। নির্দিষ্ট সময় শেষে স্বংয়ক্রিয়ভাবেই রান্না শেষ হয়ে যায়। রাইস কুকারে রান্না সত্যিই ঝামেলাবিহীন এবং এতে খাবার পুড়ে যাওয়ার সম্ভবনাও একদমই নেই। রাইসকুকার জীবনকে করেছে আরও সহজ। বাজারে সিঙ্গারের বিভিন্ন ধরনের রাইস কুকার পাওয়া যায় ১ হাজার ৮০০ হতে ২ হাজার ৫০০ টাকার মধ্যে।
ব্লেন্ডার
খুব সহজে জুস করার জন্য ব্লেন্ডারের বিকল্প নেই। বিশেষ করে গরমের সময় ফলের রস করা যায়। অফিস থেকে বাসায় ফিরে প্রশান্তির জন্য জুস পান করেন অনেকেই। কারণ সময় বাঁচিয়ে সহজে এক গ্লাস ফলের রস দিতে পারে এই ব্লেন্ডারা মেশিনটি। এছাড়াও মসলা বাটার ঝামেলা মিটিয়ে দিতে পারে ব্লেন্ডার। এতে খুব সহজে যে কোনো মসলা ব্লেন্ড করে নেওয়া যায়। সিঙ্গার ব্র্যান্ডের ব্লেন্ডারের দাম ৪ হাজার ৪০০ থেকে ৬ হাজার ৬০০ টাকার মধ্যে।
স্যান্ডউইচ মেকার ও টোস্টার
খুব অল্প সময়ে সহজ উপায়ে বিভিন্ন রেসিপি অনুসরণ করে নাস্তা তৈরি করার জন্য স্যান্ডউইচ মেকার এবং টোস্টারের জুড়ি নেই। অফিসে যাওয়ার আগে খুব সহজেই এই সামগ্রীগুলো দিয়ে নাস্তা বানিয়ে খেয়ে পারবেন। খুব সহজেই এসব কিচেন অ্যাপলায়েন্স ব্যবহারের মাধ্যমে পাওয়া যেতে পারে ঝটপট রান্নার সহজ সমাধান। সেইসঙ্গে রান্নাঘরকে সাজিয়ে নিতে পারেন সিঙ্গারের পছন্দের সব কিচেন অ্যাপ্লায়েন্স এর মাধ্যমে।
মাইক্রোওয়েভ ওভেন
বর্তমান সময় মাইক্রোওয়েভ ওভেন ছাড়া রান্নাঘর ভাবাই যায় না৷ চটজলদি খাবার গরম থেকে শুরু করে কিছু রান্নাও এতে করা যায়। এতে সময় ও শ্রম দুটোই বাঁচে। অতি ব্যস্ত জীবনে সময় বাঁচাতে ঘরে নিয়ে আসতে পারে মাইক্রোওয়েভ ওভেন। ৭ হাজার ৩০০ টাকা থেকে ১৬ হাজার ৮০০ টাকার মধ্যে বাজারে সিঙ্গারের মাইক্রোওয়েভ ওভেন পাওয়া যাবে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।