দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কিছু মেডিটেশন রয়েছে যা হৃদরোগ প্রতিরোধ ও নিরাময় করতে পারে। এমন কিছু মেডিটেশন সম্পর্কে আজ আপনাদের সামনে একটি প্রতিবেদন তুলে ধরা হবে।
বাংলাদেশে এই প্রথমবারের মতো প্রকাশিত হয়েছে হৃদরোগ নিরাময়ে কয়েকটি বিশেষ মেডিটেশন, যা করোনারি হৃদরোগ নিরাময় এবং প্রতিরোধে এক নবদিগন্তের সূচনা করেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
গবেষণায় দেখা যায়, মেডিটেশনকালে সুস্থ হৃৎপিন্ডের কল্পনা হৃৎপিন্ডকে প্রাণবন্ত করার পাশাপাশি রক্তের অতিরিক্ত কোলেস্টেরলকেও স্বাভাবিক মাত্রায় নিয়ে আসতে সাহায্য করে। সঠিক জীবনদৃষ্টি এবং সুস্থ জীবন-অভ্যাস অনুসরণের পাশাপাশি এই মেডিটেশনগুলোর নিয়মিত চর্চা আমাদের হৃৎপিন্ডের ব্লকেজ দূর করতেও সাহায্য করবে।
আত্ম পর্যালোচনা
ক্রমাগত আত্ম পর্যালোচনার মাধ্যমে সুস্থ হৃৎপিন্ডের জন্যে প্রয়োজনীয় জীবন-অভ্যাসগুলো অনুসরণ করা আপনার জন্যে অনেকটাই সহজ হয়ে উঠবে। প্রতিদিন একটু একটু করে পরিবর্তনের পথে এগিয়ে যেতে থাকবেন আপনি।
হৃদয়ের কথা বলি হৃদয়ে
এই মেডিটেশনটি জীবনে প্রথমবারের মতো নিজের হৃৎপিন্ডের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করবে। গভীর আত্মনিমগ্নতায় কথা বলবেন আপনার হৃৎপিন্ডের সঙ্গে। একে একে উন্মোচিত হবে আপনার হৃদরোগের কারণসমূহ। যে কারণে এসব ভুল জীবন-অভ্যাস শুধরে নিতে পারা যাবে খুব সহজেই।
হৃদরোগ নিরাময়
নিয়মিত নিরাময়ের কল্পচিত্র কিংবা মনছবি দেখে গত তিন দশকে অসংখ্য মানুষ পেয়েছেন হৃদরোগ হতে মুক্তি। হৃদরোগ নিরাময়ের একটি পরীক্ষিত এবং কার্যকর মনছবি হিসেবে এটি ইতিমধ্যেই প্রমাণিত হয়েছে। এই মেডিটেশনের মাধ্যমে মনের অফুরন্ত শক্তিভান্ডারকে ব্যবহার করে এগিয়ে যাবেন সুস্থতার পথে।
দীর্ঘজীবন
আমরা সকলেই দীর্ঘজীবী হতে আগ্রহী, তবে আমরা জানি না কীভাবে দীর্ঘজীবনের অধিকারী হবো। বিজ্ঞানের সর্বশেষ গবেষণা ও সাধকদের সাধনালব্ধ জ্ঞানের আলোকে এই মেডিটেশনে দীর্ঘজীবনের রহস্যকে তুলে ধরা হয়। নিয়মিত এই মেডিটেশন চর্চা আপনাকে সুস্থ এবং কর্মব্যস্ত দীর্ঘজীবনের পথে এগিয়ে যেতে আরও উদ্বুদ্ধ করবে।
শুকরিয়া
শুকরিয়া নামক এই মেডিটেশন আপনার শুকরিয়ার অনুভূতি আরও বাড়িয়ে দেবে। গভীর আত্মনিমগ্নতায় আপনি লাভ করবেন শুকরিয়ার যেনো এক নতুন উপলব্ধি। আপনি হয়ে উঠবেন প্রশান্ত পরিতৃপ্ত এক সুখী মানুষ। এগিয়ে যাবেন সুস্থ দেহ প্রশান্ত মন এবং কর্মব্যস্ত সুখী জীবনের পথে।
# ডা. মনিরুজ্জামান ও ডা. আতাউর রহমান এর লেখা এনজিওপ্লাস্টি ও বাইপাস সার্জারি ছাড়াই ‘হৃদরোগ নিরাময় ও প্রতিরোধ’ শীর্ষক বই হতে লেখাটি নেওয়া।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।