দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ লেবু মূলত একটি সাইট্রাস জাতীয় ফল। সাইট্রাস ফলের মধ্যে ভিটামিন সি বেশি পরিমাণে থাকে, এটি প্রাথমিক অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট যা কোষকে ক্ষতিকারক ফ্রি র্যাডিক্ল হতে রক্ষা করে।
দীর্ঘদিন ধরে লেবু পানি খাওয়াকে একটি স্বাস্থ্যকর অভ্যাস বলে গণ্য করা হয়ে থাকে। আজ জেনে নিন লেবুর নানা উপকারীতা।
হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে
ভিটামিন সি হলো সংবহনতন্ত্রের রোগ, স্ট্রোকের ঝুঁকি ও রক্তচাপও কমাতে পারে। লেবু ভিটামিন সি এর একটি ভালো উৎস। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, একটি লেবুর রসে প্রায় ১৮.৬ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি থাকে। প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য দৈনিক প্রয়োজন ভিটামিন সি-র পরিমাণ ৬৫ হতে ৯০ মিলিগ্রাম।
ওজন কমাতে সাহায্য করে
গবেষণায় দেখা যায় যে, লেবুতে রয়েছে পলিফেনল অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। ইঁদুরের উপর করা পরীক্ষায় দেখা যায় যে, এই উপাদানটি স্থূলতা প্রতিরোধ করে এবং অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি উল্লেখযোগ্যহারে হ্রাস করে।
কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে
অনেকেই কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে করার জন্য প্রতিদিন সকালে লেবু পানি পান করেন। ঘুম থেকে উঠলে উষ্ণ লেবু পানি পান করা পাচনতন্ত্রকে সচল রাখতে সাহায্য করে। প্রাচীন আয়ুর্বেদিক শাস্ত্র বলে যে, লেবুর টক স্বাদ শরীরের ‘অগ্নি’কে উদ্দীপিত করতেও সাহায্য করে। যা খাবার আরও সহজে হজম করতে সহায়তা করে থাকে এবং ‘টক্সিন’ জমা হওয়া রোধ করতেও সাহায্য করে।
ডায়াবেটিস রোধ
ইঁদুরের উপর করা এক গবেষণায় দেখা যায়, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট যৌগগুলি রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে ও ইনসুলিনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে যা ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণের অত্যন্ত বেশি প্রয়োজন। তবে এই বিষয়ে এখনও বিস্তারিত গবেষণার প্রয়োজন।
ত্বক ভালো রাখে
লেবুতে প্রাপ্ত ভিটামিন সি ত্বকের বলিরেখা, বার্ধক্যজনিত শুষ্ক ত্বক ও সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মির প্রভাব কমাতে সাহায্য করে। ত্বক আর্দ্রতা হারিয়ে শুষ্ক হয়ে গেলে বলিরেখার প্রবণতাও দেখা দেয়। সকালে এক গ্লাস লেবু পানি এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে।
কিডনির পাথর প্রতিরোধ
লেবুতে থাকা সাইট্রিক অ্যাসিড কিডনিতে পাথর প্রতিরোধে সাহায্য করে থাকে। সাইট্রেট, সাইট্রিক অ্যাসিডের একটি উপাদান, যেটি প্রস্রাবের অম্লত্ব হ্রাস করে ও আবার ছোট ছোট পাথর ভেঙ্গে ফেলতেও সহায়তা করতে পারে। সেইসঙ্গে পাথর প্রতিরোধ বা ফ্লাশ করার জন্যও প্রয়োজনীয় পানি পাওয়া যায় এতে।
মুখের গন্ধ হ্রাস
রসুন, পেঁয়াজ বা মাছের মতো তীব্র গন্ধযুক্ত খাবার খাওয়ার কারণে নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধের ক্ষেত্রেও একই প্রতিকার প্রযোজ্য হতে পারে। খাবারের পরে ও সকালে প্রথমে এক গ্লাস লেবু পানি পান করে নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ এড়ানো যেতে পারে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।