দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কর্মব্যস্ত দিন পার করে সন্ধ্যাবেলায় ঘরে ফেরার পর কি কারও ইচ্ছে করে ঘর পরিষ্কার করতে? তবে ইচ্ছে না থাকলেও সেটি করতে হয়। তবে আজ জেনে নিন চটজলদি বাথরুম পরিষ্কার করার কৌশল।
ঘরের সাফ-সাফাই করাটা যেমন অত্যন্ত জরুরিএকটি কাজ ঠিক তেমনি আমাদের নিজেদের ভালো থাকার জন্যই বাথরুম পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখাটাও জরুরি একটি বিষয়। বিশেষ করে রান্নাঘর, বাথরুম ও ডাইনিংয়ের মতো স্থানগুলোতো কিছুদিন পরপরই পরিষ্কার করা দরকার। তবে সময় একটা ফ্যাক্টর। কাজে ব্যস্ত থাকার কারণে অনেক সময় এসব কাজ করার সময় হয়ে ওঠে না। তবে চিন্তার কিছু নেই খুব সহজেই ঝটপট বাথরুম পরিষ্কারের কিছু সাহায্যকারী কৌশল আজ জেনে নিন।
# ঝাপসা কাঁচ পরিষ্কার করা
# বাথরুমের চারদিকে ছড়িয়ে পড়া সাবানের দাগ ও পানি দ্বারা তৈরি জং বা মরচে পরিষ্কার করা
# ট্যাপের পানি পড়ে তৈরি হওয়া বাদামী দাগগুলো পরিষ্কার করা
# বাথরুমে হঠাৎ করেই তৈরি হওয়া আজগুবী সব দাগ পরিষ্কার করা
# চুল, ফেনা, শ্যাম্পুর ফেলে দেওয়া অংশসহ সমস্ত আবর্জনা পরিষ্কার করা।
এই সমস্ত ঝামেলাকে খুব দ্রুত দূর করার জন্যে নীচে দেওয়া হরো খুব উপকারী কিছু পরিষ্কারের কৌশল।
ঝাপসা কাঁচ
ঝাপসা কাঁচকে নিমিষে খুব বেশি ডলাডলি ছাড়াই চকচকে করে তুলতে হলে প্রথমেই একটি গ্লাসে অর্ধেকের একটি বেশি ঠাণ্ডা পানি নিয়ে ৩টি ব্ল্যাক টি ব্যাগ তাতে চুবিয়ে নিতে হবে। এবার সেই মিশ্রণটি আপনার বাথরুমের ঝাপসা কাঁচে ছিটিয়ে নিয়ে সেটি খবরের কাগজ দিয়ে ভালো করে মুছে ফেলুন। দেখুন কেমন ভীষণ চকচকে হয়ে গিয়েছে আপনার বাথরুমের কাঁচ!
বেসিনের বাদামী ছোপ, জং বা দাগ
বেসিনে বাদামী দাগ পড়ে যেতেই পারে। একটি পাত্র নিয়ে তাতে অর্ধেক ভিনেগার ও অর্ধেক থালা বাসন মাজার তরল সাবান মিশিয়ে নিতে হবে। এখন সেটি একটি শক্ত মুছনীতে লাগিয়ে নিয়ে দাগ পড়া স্থানে ঘষুন। দেখবেন যে দাগ চলে গিয়েছে। এছাড়াও যে কোনো রকমের জং বা খসখসেভাব দূর করতে খানিকটা লেবুর রস সেখানে ঘষতে হবে। তারপর সেটাকে ভালো করে পরিষ্কার করে ফেলুন। এছাড়াও যদি পানির কলের ভেতরে শক্ত রকমের জং এবং কোনো দাগ দেখতে পান তাহলে আপনি একটি তোয়ালে বা কাপড় দিয়ে জংধরা স্থানগুলো ভালো করে মুড়িয়ে নিন। তারপর সেটার ওপর ভিনেগার ঢেলে দিন। কাপড় বা তোয়ালেটিতে ৩০ মিনিট ঠিক সেভাবেই রেখে দিন। ৩০ মিনিট পর উঠিয়ে দাগ এবং জংপড়া স্থানটিকে ভালোভাবে ঘষে নিন। তাতে পরিষ্কার হয়ে যাবে।
টয়লেট পরিষ্কার
প্রতিদিন ব্যবহৃত এই স্থানটিকে পরিষ্কার করার জন্যে খুব একটা বেশি কষ্ট করতে হবেনা আপনাকে। সে জন্যে শুধু ভিনেগার ও কয়েকটুকরো কাগজই সাহায্য করতে পারে। প্রথমে ফ্ল্যাশের ভেতরে খানিকটা ভিনেগার ঢেলে দিতে হবে। এবার উপরে কাগজে ভিনেগার ঢেলে সেটি কমোডের কোনায় রাখুন। বাকীটা অংশ ভিনেগার দিয়ে মোছা হয়ে গেলে ৫/৭ মিনিট পর কাগজগুলো ব্রাশ দিয়ে বের করে আনুন এবং ভিনেগার দিয়ে একটি ব্রাশ ভিজিয়ে সেটা দিয়ে বাকীটা পরিষ্কার করে ফেলুন। এবার সবটা শেষ হয়ে গেলেই ফ্ল্যাশ করুন।
লুকিয়ে থাকা আবর্জনা পরিষ্কার
সামনে থাকা আবর্জনাতো আপনি ইচ্ছে করলেই তুলে ফেলতে পারবেন। তবে সেই আবর্জনাগুলো যেগুলো লুকিয়ে থাকে বেসিনসহ এমনকিছু স্থানে যা ইচ্ছা করলেও আপনার পক্ষে বের করে নিয়ে আসা সম্ভব না সেগুলো দূর করতে আপনার ভ্যাকুয়াম ক্লিনারটিকে নিয়ে কাগজ দিয়ে মুড়িয়ে তাতে টেপ আটকে দিয়ে এবং সেই ময়লা-আবর্জনাগুলোকে বের করে নিয়ে আসতে হবে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।