দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা ইচ্ছে মতো ফ্রিজে মাংস রাখি। কিন্তু সঠিক পদ্ধতিতে মাংস সংরক্ষণ না করলে মাংসের স্বাদ এবং পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই ফ্রিজে মাংস সংরক্ষণ করতে বেশ কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে।
আলো, তাপ, আর্দ্রতা, জীবাণু, অক্সিজেন প্রভৃতির প্রভাবে পচনে সহায়তাকারী ব্যাকটেরিয়া, ইস্ট, মোল্ডের মতো মাইক্রো অর্গানিজমের সংক্রমণে মাংস খাওয়ার অনুপযোগী হয়ে পড়তে পারে, যা থেকে এক সময় বিভিন্ন ধরনের খাদ্যবাহিত রোগ তৈরি হওয়ার ঝুঁকিও বাড়ে। তাই সঠিক পদ্ধতিতে মাংস সংরক্ষণ করা একান্ত দরকার।
আজ মাংস সংরক্ষণের সঠিক উপায় জেনে নিন:
# আপনার প্রথম কাজ হবে মাংস সংরক্ষণের জন্য ফ্রিজ পরিষ্কার করে নেওয়া। তাহলে ফ্রিজে জমে থাকা ময়লা এবং জীবাণুর কারণে মাংসের গুণাগুণ কখনও নষ্ট হবে না।
# ফ্রিজের সব বরফ সব সময় গলিয়ে রাখা যাবে না। ফ্রিজ পরিষ্কারের পর ফ্রিজে আবারও বরফ জমিয়ে নিতে হবে। এতে করে মাংস দ্রুত ঠাণ্ডা হবে ও মাংসের মান ভালো থাকবে।
# পশু জবাইয়ের সঙ্গে সঙ্গেই মাংস ফ্রিজে না ঢোকানোই ভালো। কারণ এই সময় মাংস কিছুটা গরম থাকে। মাংসের তাপমাত্রা স্বাভাবিক হওয়ার পর ফ্রিজে সংরক্ষণ করা দরকার।
# মাংস ফ্রিজে সংরক্ষণ করার আগে অবশ্যই অতিরিক্ত রক্ত ধুয়ে পরিষ্কার করে তারপর পানি ঝরিয়ে নিতে হবে। পানি পুরোপুরি ঝরে গেলে পরিষ্কার ব্যাগে ভরে তারপর সেই মাংস সংরক্ষণ করতে হবে।
# একটি মাংসের প্যাকেট রাখার পর মাঝে কাগজ দিয়ে আরেকটি প্যাকেট রাখতে পারেন। এতে করে দীর্ঘদিন ফ্রিজে থাকলে একটি মাংসের সঙ্গে আরেকটি প্যাকেট আটকে যাবে না। এতে করে ফ্রিজ থেকে খুব সহজেই মাংসের প্যাকেট বের করে নিতেও কোনো অসুবিধা হবে না।
# ফ্রিজে মাংস রাখার পর ফ্রিজের তাপমাত্রা একদম কমিয়ে দিতে হবে। এতে করে মাংস তাড়াতাড়ি জমবে।
# ফ্রিজে গরুর মাংস ও খাসির মাংস ৫ থেকে ৬ মাস পর্যন্ত রেখে খাওয়া যেতে পারে। তবে কলিজা খুব বেশিদিন ফ্রিজে না রাখাই ভালো। এতে করে কলিজার স্বাদ ও গুণ নষ্ট হয়ে যায়।
# ফ্রিজে যদি মাংস রাখার জায়গা না হয় তাহলে কিছু মাংস জ্বাল দিয়ে নর্মালেও রাখতে পারেন।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।