দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আকাশচুম্বী মূল্যের জন্য মধ্যবিত্ত মানুষের বড় অ্যাপার্টমেন্ট কেনা প্রায় অসম্ভব ব্যাপার। তাই বাধ্য হয়েই অনেকেই ছোট ফ্ল্যাট কিনছেন। তবে ছোট ঘরও বড় দেখা যেতে পারে তার জন্য দরকার সঠিক পরিকল্পনা।
আপনার থাকার জায়গাটি ছোট হলেও কিছু উপায় অবলম্বন করে ছোট জায়গা আপনি বড় করে উপস্থাপন করতে পারবেন। আজকের এই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হলো তেমন কিছু পদ্ধতি।
# আপনার বাসার ফার্নিচার পছন্দ করার ক্ষেত্রে কিছুটা বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিতে হবে। যেমন- এর একটি উপায় হতে পারে প্রথমে বড় একটি বিছানা দিয়ে আপনার বেডরুমে একটি সম্পূর্ণতার অনুভূতি তৈরি করা। তারপর কক্ষের সঙ্গে মানানসই ছোট আকারের শেলফ এবং অন্যান্য ফার্নিচার দিয়ে সাজিয়ে ফেলুন।
# কক্ষে পর্দা লাগানোর সময় লক্ষ্য রাখতে হবে এটি যেনো আপনার দেওয়ালের রঙের সঙ্গে ভলো মতো মিলে যায়। এতে কক্ষের আকার অনেকটা বড় মনে হবে।
# ভেতরের বিভিন্ন কক্ষের মাঝের দরজা এবং কাপবোর্ডের দরজা সরিয়েও ফেলা যেতে পারে। বিকল্প হিসেবে স্লাইডিং দরজা ব্যবহার করতে পারেন, এতে জায়গার সাশ্রয় হবে।
# বই-পত্র রাখার জন্য ফ্লোর টু সিলিং বিস্তৃত সেলফ ব্যবহার করতে হবে। এটি আপনার সিলিংয়ের উচ্চতা বাড়ানোর অনুভূতি সৃষ্টি করবে। তাছাড়াও প্রচুর জিনিস রাখা যাবে।
# ছোট বাসার জন্য মাল্টিফাংশনাল ফার্নিচার একটি ভালো সমাধান হতে পারে। যেমন ভাজ করে রাখা চেয়ার, টেবিল বা সোফা কাম বেড ব্যবহার করতে পারেন।
# যেসব ফার্নিচার ভাজ করে রাখা যাবে, সেগুলো অবশ্যই ভাজ করে রাখুন। শুধু প্রয়োজনের সময় বের করে ব্যবহার করুন।
# আপনার ঘরের অব্যবহৃত জিনিসপত্রগুলো সরিয়ে ফেলুন।
# রঙের ক্ষেত্রে হালকা ও প্রাকৃতিক রঙ ব্যবহার করুন। এতে করে আপনার ছোট বাসাকে বড় দেখাতে সহায়তা করবে।
# আপনার দেওয়ালের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে পর্দা এবং ফার্নিচারের রঙ পছন্দ করতে হবে।
# সব সময় জানালা খোলা রাখার চেষ্টা করুন। এতে আপনার ছোট ঘরেরও আলাদা গভীরতা তৈরি হবে।
# আপনার ঘরে রাখুন সবুজের ছোঁয়া। সে জন্য যে বড় আকারের বাগান বা মূল্যবান গাছ লাগাতে হবে, তা কিন্তু নয়। ঘরের ভেতর টবে রাখা একটি ছোট গাছও সেজন্য যথেষ্ট।
# আপনার ঘরের ভেতর পর্যাপ্ত পরিমাণে সূর্যের আলোর ব্যবস্থা করুন। প্রাকৃতিক আলো-বাতাসে ছোট ঘরও হয়ে উঠতে পারে স্বাস্থ্যকর। তথ্যসূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।