দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আপনি কী ঘর পরিষ্কার রাখার কথা ভাবছেন? সেজন্য চিন্তার কিছু নেই। বেকিং সোডা ও ভিনেগারের দিয়ে পরিষ্কার রাখুন আপনার ঘর।
দৈনন্দিন ব্যবহারের কারণে রান্নাঘর হতে শুরু করে নোংরা থাকে একেবারে বাথরুম পর্যন্ত। সময় স্বল্পতার কারণে পরিষ্কার না করার কারণে জমতে থাকে ময়লা। তাই বেকিং সোডা এবং ভিনেগারের মিশ্রণ দিয়ে অল্প সময়েই পরিষ্কার করে তুলতে পারেন আপনার ঘর।
# অনেক সময় দেখা যায় যে, বেসিনের মুখে পানি জমে যায়। এই সমস্যা দূর করার জন্য সহজ উপায় হলো, বেসিনের মুখে ২ চামচ বেকিং সোডা দিয়ে তার উপর ভিনেগার ঢেলে দিন। এর কিছুক্ষণ পর গরম পানি ঢেলে দিন। তাতে করে বেসিনের মুখ পরিষ্কার হয়ে যাবে, পানিও নেমে যাবে।
# রান্নার সময় মসলার দাগ বা তেল পড়ে যায় চুলার ওপর, যা এক সময় জমে শক্ত হয়ে যেতে পারে। দাগ দূর করার জন্য প্রথমে একটি বাটিতে ২ চা চামচ বেকিং সোডা, ১ চা চামচ লিকুইড সাবান ও ১ চা চামচ ভিনেগার মিশিয়ে দাগের ওপর দিয়ে রাখতে হবে। ৩০ মিনিটের পর ব্রাশ দিয়ে ঘষে, কাপড় দিয়ে মুছলেই উঠে যাবে পুরো দাগ।
# অনেক সময় ইস্ত্রি কিংবা চামচে মরিচা পরে যায়। এই মরিচার দাগ তোলার জন্য ইস্ত্রির ওপর ভিনেগার স্প্রে করার পর কাগজ দিয়ে ঘষুণ। মরিচা দাগ হালকা উঠে গেলে তার উপর কিছু পরিমাণ বেকিং পাউডার দিয়ে ভালোভাবে ঘষুণ। তারপর ইস্ত্রিটি মুছে ফেলুন। আর চামচ থেকে দাগ তোলার জন্য একটি পাত্রে বেকিং সোডার সঙ্গে পানি মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে ফেলতে হবে। তারপর আঙুলের সাহায্যে ওই পেস্টটি চামচের ওপর লাগিয়ে ভালো করে ঘষুণ।
# বাথরুমের ফ্লোরে হলুদ দাগ দূর করার জন্যও বেকিং সোডা ও লিকুইড সাবানের প্রয়োজন। দাগের ওপর সোডা ও সাবান মাখিয়ে রাখুন। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর তা ব্রাশ দিয়ে ঘষে দাগ তুলে ফেলুন।
# অনেক সময় কার্পেটের উপর খাবার বা পানীয় পরে দাগ হয়ে যায়। তাই প্রথমে দাগের ওপর ভিনেগার দিয়ে ভিজিয়ে নিন। তারপর ভিনেগারের ওপর বেকিং সোডা দিন। কিছু সময় পর সাদা কাপড় দিয়ে ওই দাগটি ঘষুণ ও শুকাতে দিন।
# আবার আপনার ঘরের ফ্রিজ বা ওভেন পরিষ্কার রাখার জন্য ১ কাপ গরম পানিতে আধা কাপ ভিনেগার ও ২ টেবিল চামচ বেকিং সোডা ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। তারপর ফ্রিজ বা ওভেনের ওপর স্প্রে করে সুতির নরম কাপড় দিয়ে ভালো করে মুছে ফেলুন।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।