দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেকেই আমরা ঘরে গাছ রাখতে পছন্দ করি। তবে সেই গাছ যে শুধুই ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে তা কিন্তু নয়, এই গাছ ঘরের উপকারও করে। রাতে ঘুম পাড়াতে সাহায্য করে এমন কিছু গাছের কথা রয়েছে আজ।
কিছু গাছ শোয়ার ঘরে রেখে দিলে এটি আপনাকে অক্সিজেন ছাড়াও প্রশান্তি এবং ইতিবাচক শক্তি পেতে সাহায্য করবে। তাছাড়াও এই গাছগুলো আপনাকে রাতে ঘুম পাড়াতেও সাহায্য করবে।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক খবরে বলা হয়, এমন কিছু গাছ রয়েছে যা আপনার শয়নকক্ষের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবে, আবার আপনাকে রাতে ভালো ঘুমাতেও এই গাছ সাহায্য করবে।
সেই গাছগুলো সম্পর্কে আজ জেনে নিন:
অ্যালোভেরা
আমরা অনেকেই জানি অ্যালোভেরার গুণাগুণের কথা। ঘৃতকুমারী বা অ্যালোভেরা শুধু ত্বকের ক্রিম হিসেবেই ব্যবহৃত হয়
তা কিন্তু নয়। এই উদ্ভিদটি আপনার ভালো ঘুমেও সাহায্য করবে। এই উদ্ভিদটি হতে রাতে অক্সিজেন নির্গত হয়। যে কারণে আপনি পেতে পাবেন একটি প্রশান্তির ঘুম। ঘৃতকুমারী উদ্ভিদটি খুব তাড়াতাড়ি বড় হয়। এটি পরিচর্যা করাও খুব সহজসাধ্য ব্যাপার।
ল্যাভেন্ডার
ল্যাভেন্ডারের সুগন্ধ সবাই চাই। এই গাছটি শয়নকক্ষে রাখলে আপনার অতিরিক্ত মানসিক চাপ কমাবে ও একটি প্রশান্তির ঘুম পেতেও সাহায্য করবে। এক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, এই উদ্ভিদটি গর্ভবতী মায়ের স্ট্রেস লেভেল কমাতে বিশেষভাবে সাহায্য করবে।
সর্প উদ্ভিদ
গবেষণা সংস্থা নাসার মতে, শয়নকক্ষে সর্প উদ্ভিদ সবচেয়ে ভালো বায়ু ফিল্টারিং এর কাজ করে থাকে। এই উদ্ভিদটি গৃহসজ্জার কাজ ছাড়াও রাতে শয়নকক্ষে অক্সিজেন নির্গত হতে সাহায্য করে থাকে। এছাড়াও ক্যান্সার সৃষ্টিকারী রাসায়নিক বায়ু পরিষ্কার করার জন্যও স্পাইডার প্ল্যান্টটি খুবই কার্যকরী একটি জিনিস। রাতে একটি প্রশান্তির ঘুম পেতে এই উদ্ভিদটিও আপনার শোবার ঘরে অবশ্যই রাখতে পারেন।
জুঁই ফুল
জুঁই ফুল আমরা সবাই চিনি। এই জুঁই ফুল শয়নকক্ষে রাখলে আপনার শরীরের উপর একটি শীতল প্রভাবও ফেলে। এই উদ্ভিদটি আপনার ব্যক্তিগত উদ্বেগ মাত্রা কমাতে ও অনেক ইতিবাচক শক্তি পেতে সাহায্য করে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।