দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ রান্নার মসলা হিসেবে পরিচিত দারুচিনি আসলে একটি গাছের ছাল। এই গাছের ছাল রান্নার স্বাদ ও গন্ধ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে রয়েছে নানা গুণও। আজ জেনে নিন দারুচিনির কিছু গুণাগুণ।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ এই ভেষজ গাছটি যুগের পর যুগ বেশকিছু রোগ থেকে সুরক্ষিত করে আসছে আমাদের। বিশ্বের সেরা ৭ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে একটি হলো এই দারুচিনি। ঠাণ্ডাজনিত রোগ, পেশী সংকোচনের কারণে ব্যথা ও শক্তি সঞ্চয়ে সাহায্য করে এই দারুচিনি। তাছাড়াও রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখতেও ভীষণভাবে কার্যকর। এটি দূর করে অ্যাসিডিটি সমস্যাও।
দারুচিনির বেশ কিছু ঔষধি গুণাগুণও রয়েছে যেমন:
পেটের সমস্যা দূর করে দারুচিনি। এটি অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল উপাদান পেটের ব্যথা দূর করতে অনেক বেশি কার্যকর। যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণে হজম এবং গ্যাসের সমস্যা ও প্রতিদিন টয়লেট হয় না। সেক্ষেত্রে আপনি রাতে ঘুমানোর আগে দারুচিনির সঙ্গে হরিতকীর গুঁড়ো মিশিয়ে খেলে উপকার পাবেন। যদি আপনার অ্যাসিডিটি সমস্যা থাকে তাহলে এ থেকে মুক্তি পেতে হলে দারুচিনির সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন।
এটি ক্যান্সার প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। দারুচিনিতে আরও রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ডিএনএ নষ্ট হতে দেয় না এবং ক্যান্সার সৃষ্টিকারী টিউমারের বৃদ্ধিতে বাধা প্রদান করে। এছাড়াও দারুচিনিতে রয়েছে সিনাম্যালডিহাইড নামক একটি উপাদান, যা লিউকোমিয়া এবং লিমফোমা ক্যান্সার কোষের প্রভাব কমিয়ে ক্যান্সার রোধে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
স্মরণশক্তি বৃদ্ধি এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে এই দারুচিনি। প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় দারুচিনি রাখলে ওজন কমাতে সাহায্য করবে। দরিুচিনিতে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা স্মরণশক্তিও বৃদ্ধি করে।
রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করতে দারুচিনির বিকল্প নেই। দেহের রক্ত তরল থাকতে সাহায্য করে এই দারুচিনি। মাত্র ২ ঘণ্টায় রক্তের মন্দ কোলেস্টরেলের পরিমাণ ১০ শতাংশ করে কমিয়ে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করতে বিশেষ ভুমিকা রাখে এই দারুচিনি।
অ্যালার্জির সংক্রমণ কমাতেও সাহায্য করে করে এই দারুচিনি। কারণ দারুচিনিতে রয়েছে এমন কিছু জীবাণুনাশক উপাদান যা ত্বকের চুলকানি, অ্যালার্জি এবং বিভিন্ন সংক্রমণ রোধে দারুণভাবে কাজ করে থ। ত্বকের কোথাও ফুলে গেলে, ব্যথা হলে, লালচে হয়ে গেলে দারুচিনির নির্যাসযুক্ত তেল সরাসরি ত্বকে লাগালে উপকার পাওয়া যাবে। আবার ব্রণ এবং ফুসকুড়ি হলেও দারুচিনির সঙ্গে মধু মিশিয়ে ত্বকে লাগালে ব্রণ এবং ফুসকুড়ি ভালো হবে।
ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করতে এই দারুচিরি জুড়ি নেই। বেশকিছু গবেষনায় দেখা যায়, দারুচিনি খুবই উপকারী রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখে। প্রতিদিন আধা চা চামচ দারুচিনির গুঁড়ো রক্তে খারাপ কোলেস্টোরল এলডিএলের মাত্রা কমিয়ে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে, যা টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুব উপকারী।
দাঁত ক্ষয় এবং মাড়ির সমস্যা দূর করতে পারে এই দারুচিনি। চুইংগাম, মিন্ট চকলেট, মাউথওয়াশ, টুথপেস্ট ইত্যাদি তৈরিতে বহুল প্রচলিত একটি উপাদান হলো এই দারুচিনির তেল। এই উপাদান দাঁত এবং মাড়ির ক্ষতি করে মুখের ভিতরের এমন ব্যাক্টেরিয়াগুলো বৃদ্ধি প্রতিরোধ করে থাকে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।