দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির বিশ্ব সম্মেলন ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস অন ইনফরমেশন টেকনোলজির (ডব্লিউসিআইটি) ২৫তম আসর উদ্বোধন হতে যাচ্ছে ঢাকায়। আজ (বৃহস্পতিবার) রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ভার্চুয়ালি এটির উদ্বোধন করবেন।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) তথ্যপ্রযুক্তির অলিম্পিক হিসেবে খ্যাত এ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হবে। এবারের প্রতিপাদ্য ‘আইসিটি দ্য গ্রেট ইকুয়ালাইজার’ । বিশ্বের যে কোনো প্রান্ত হতেই অনলাইনেও এই সম্মেলনে যুক্ত হওয়া যাবে।
‘ডব্লিউসিআইটি ২০২১’ সম্মেলনের সঙ্গে সঙ্গে একই সময়কালে অনুষ্ঠিত হবে এশিয়া এবং ওশেনিয়া অঞ্চলের আন্তর্জাতিক সম্মেলন অ্যাসোসিও ‘ডিজিটাল সামিট ২০২১’।
১১ নভেম্বর থেকে ১৪ নভেম্বর এই চার দিনব্যাপী এই সম্মেলনে থাকছে মোট ৩০টি সেমিনার, মিনিস্টারিয়াল কনফারেন্স ও বিটুবি সেশন। অনলাইনে নিবন্ধিত হয়েই এই সেমিনারগুলোতে অংশ নেওয়া যাবে। প্রতিদিন সেমিনারের সঙ্গে সঙ্গে থাকছে বিশেষ আয়োজনও। সম্মেলনের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের অংশগ্রহণে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে প্রদর্শনীর আয়োজনও করা হয়েছে।
গুগল প্লে স্টোর এবং আইফোনের অ্যাপ স্টোর হতে wcit2021 নামে অ্যাপটি ডাউনলোড করে ইন্সটল করে সম্মেলনে অংশ গ্রহণ করা যাবে। এ ছাড়াও www.wcit2021.com.bd ওয়েবসাইট ভিজিট করে ভার্চুয়ালি সম্মেলন এবং প্রদর্শনীও ঘুরে আসা যাবে।
জানা গেছে, উদ্বোধনী দিনে মিনিস্টারিয়াল কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন।
সমাপনী দিনে ডব্লিউসিআইটির রজতজয়ন্তীও উদযাপিত হবে। সম্মেলনের বিভিন্ন সেমিনারে অংশগ্রহণ করবেন পুরো বিশ্বের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বিভিন্ন সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ।
এ বিষয়ে গতকাল (বুধবার) রাজধানীর আইসিটি ডিভিশনে এক সংবাদ সম্মেলন করা হয়। এতে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক অনুষ্ঠানের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন।
এই সংবাদ সম্মেলনে তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘বিগত প্রায় ১৩ বছরে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশের যে অর্জন তা এই সম্মেলনের মাধ্যমে বহির্বিশ্বের কাছে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ হিসেবে ব্র্যান্ডিং করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। আমাদের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সফলতা এবং অর্জন আমরা এতে তুলে ধরবো। এখন ডিজিটাল বাংলাদেশের সঙ্গে উন্নত দেশের সেবার তুলনা করা হয়ে থাকে। ১২ বছর আগে এর কোনো তুলনা হতো না। এখানেই নিহীত আমাদের সফলতা।’
উল্লেখ্য, দ্য ওয়ার্ল্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সার্ভিসেস অ্যালায়েন্সের (উইটসা) উদ্যোগে দেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) ও বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস) যৌথভাবে এই সম্মেলনের আয়োজন করছে। এই আয়োজনের পার্টনার হিসেবে রয়েছে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর, কন্ট্রোলার অব সার্টিফাইং অথরিটিজ (সিসিএ) এবং ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সি। তথ্যসূত্র: একুশে টেলিভিশন।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।