দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় প্রাকৃতিক খাদ্য উপাদান হিসেবে ফল এবং সবজি রাখা দরকার। কারণ হলো খাবারের প্রভাব আমাদের শরীরের ওপরেও পড়ে থাকে। সেটি দূর করতে জুস খাওয়া যেতে পারে।
খাবারের প্রভাব শরীরের অভ্যন্তরে এবং বাইরেও প্রকাশ পায়। পুষ্টি পাওয়ার সবচেয়ে সহজ এবং সর্বোত্তম উপায় হলো জুস বানিয়ে পান করা। তাই সুস্বাস্থ্য এবং সুন্দর চেহারা পেতে বিভিন্ন খাবারকেই চিকিৎসা হিসেবে বেছে নেওয়ার জুড়ি হয় না।
উজ্জ্বল ত্বক পেতে আমরা অনেকেই বিভিন্ন পণ্য ব্যবহার করে থাকি। তবে এইসব পণ্যের নানা ক্ষতিকারক দিক বিবেচনা করি না। যদিও আমাদের বেছে নেওয়া উচিত প্রকৃতিক উপায় যার কোনো ক্ষতিকারক দিক মোটেও নেই। সেটি যদি সত্যিই সুস্বাদু হয়, তা হলে তো আর কথাই নেই।
আজ আমরা জেনে নেবো সুস্বাদু জুস সম্পর্কে:
বিটরুট জুস: ত্বক এবং স্বস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী একটি সবজি হলো এই বিটরুট। বিটরুটের জুসে ভিটামিন এ, সি, কে, ফলিক অ্যাসিড, তামা, ম্যাগনেসিয়াম, জিংকের মতো নানা উপাদানের পাশাপাশি এতে রয়েছে প্রদাহবিরোধী বৈশিষ্ট্যও।
গাজরের জুস: গাজরে থাকা ভিটামিন আমাদের চোখের জন্য খুবই উপকারী। এটি সূর্যের ক্ষতি থেকেও রক্ষা করে থাকে। এ ছাড়াও গাজরে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বক উজ্জ্বল করার পাশাপাশি শরীরের ফ্রি র্যাডিকেলের বিরুদ্ধেও লড়াই করে বার্ধক্য প্রক্রিয়াকে ধীর করে দিতে পারে।
টমেটো জুস: টমেটোর জুস ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে এবং উজ্জ্বল করতে বহু উপকারী। এতে থাকা ভিটামিন সি, এ ও লাইকোপেন নামে উপাদান ত্বকের জারণ সুরক্ষা প্রদান করে থাকে। সে কারণে এটি ত্বককে উজ্জ্বল করার পাশাপাশি বিবর্ণতা, দাগ এবং ব্রণও কমায়।
কমলার জুস: কমলার রস ত্বকের শুষ্কতা, ঝলসানো ভাব দূর করে এবং অকাল বার্ধক্য নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
অ্যালোভেরা জুস: অ্যালোভেরার রসে থাকা খনিজ ও পুষ্টি উপাদান আপনার ত্বকের প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা বজায় রাখতে সাহায্য করবে। এতে থাকা গিবেরেলিন ও অক্সিন নামক হরমোন আপনার ত্বককে সুস্থ করতে সাহায্য করবে।
শসার জুস: শসার রসে থাকা সিলিকা আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে প্রাকৃতিক রঙ বাড়িয়ে তুলতে অনেক কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে।
ডালিমের জুস: ডালিমের রস ত্বককে একটি প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা প্রদান করে থাকে। সেই সঙ্গে এতে থাকা ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ও পিউনিকিক অ্যাসিড আপনার ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতেও সাহায্য করে। তাছাড়াও এটি ত্বককে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে। তথ্যসূত্র : ফাস্টক্রাই প্যারেন্টিং ডটকম।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।