দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, বাতাবি লেবু ওজন ঝরানোর পাশাপাশি ইনসুলিন হরমোনের কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণেও বিশেষভাবে সাহায্য করে। বিশেষ করে খাওয়ার পর রক্তে গ্লুকোজ়ের মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।
গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা এখনও না আসলেও রাতে মাথার উপর পাখা ঘুরছে অনেক বাড়িতে। দিনে দিনে গরমের দাপট বাড়তেই থাকবে। শীতকালে শরীরচর্চা করতে যাওয়ার কষ্ট ছিল এক রকম। আর গরমে কসরত করতে গেলে তো জিভ বেরিয়ে আসে। এমন অবস্থায় বাড়তি মেদ ঝরানোর দায়িত্ব তাহলে কে নেবে? পুষ্টিবিদরা বলেছেন, শরীরচর্চার সঙ্গে ডায়েটে যদি বাতাবি লেবু রাখেন, সেই কাজ অনেকটা সহজও হতে পারে।
সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, বাতাবি লেবু ওজন ঝরানোর পাশাপাশি ইনসুলিন হরমোনের কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে। বিশেষ করে খাওয়ার পর রক্তে গ্লুকোজ়ের মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে এটি সাহায্য করে। ডিজিটাল জার্নাল অফ পাবমেড-এ প্রকাশিত হয়েছে এই তথ্যটি। যাদের বিপাকহার সংক্রান্ত সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য বিশেষ উপকারী এই ফলটি। বাতাবি লেবুতে ক্যালোরির পরিমাণ কম, আবার ফাইবার বেশি। তবে দ্রুত গতিতে মেদ ঝরাতে চাইলে এরসঙ্গে মেশাতে হবে গোলমরিচের গুঁড়া।
বাতাবি লেবুর রসের সঙ্গে এক চিমটে গোলমরিচের গুঁড়ো মেশালে আসলে কী হবে?
গোলমরিচে রয়েছে প্যাপেরিন নামক এক উপাদান। যা বিপাকহার ও সেইসঙ্গে হজমশক্তি উন্নত করতেও সাহায্য করে। বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, গোলমরিচ শরীরে অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রাও বাড়িয়ে তুলতে পারে। যা স্বাভাবিকের তুলনায় তাড়াতাড়ি ক্যালোরি পোড়াতে সাহায্য করে থাকে। এই বাতাবি লেবুতে রয়েছে ভিটামিন সি এবং ফ্ল্যাভোনয়েড। শরীরে ফ্রি র্যাডিক্যাল থেকে কোষ নষ্ট হওয়া হতে রক্ষা করে এটি। সঙ্গে গোলমরিচ থাকলে তা অণুঘটকের মতোই কাজ করবে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org