আদা চার উপকারীতা জানলে অবাক হবেন!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সকালে ঘুম থেকে উঠে শরীরকে সতেজ করতে এককাপ চায়ের জুড়ি নেই। তবে সেটি যদি হয় আদা চা তাহলে তো কথায় নাই। কারণ এর রয়েছে বহু উপকার।

ঋতু পরিবর্তনের কারণে বর্তমানে সব বয়সের মানুষ ঠাণ্ডা-জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন। হুটহাট করে ঠাণ্ডা-জ্বরে আক্রান্ত হলে খেতে পারেন এই আদা চা। কারণ এটি বহুবিধ উপকারী।

আজকাল প্রায় সবাই আদা চা খেয়ে থাকেন। যে কারণে বেশির ভাগ চায়ের দোকানেই আপনি আদা চা পেয়ে যাবেন। তবে আপনি চাইলে ঘরেও তৈরি করতে পারেন আদা চা। মনে রাখতে হবে, লাল কিংবা রং চা বলে পরিচিত যে চা, সেটাতে আদা দিতে হবে।

কেনো খাবেন আদা চা? : আদা চা পানে বমিবমি ভাব দূর হবে, পাকস্থলীর কার্যক্রমও ভালো করে, শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা ও রক্ত চলাচল ভালো করে, ঋতুস্রাবের সমস্যা এবং মানসিক চাপও কমায়। এছাড়াও আদা চা খাবারকে ভালোভাবে হজম করতেও সাহায্য করে। অপরদিকে খাদ্য শোষণ বাড়ায়। সে কারণে হজম ভালো করতে খেতে পারেন আদা চা।

উপকরণ : এই চা বানানো খুবই সহজ। দুই কাপের বেশি পানি নিন। ২ ইঞ্চি খোসাসহ আদা কেটে নিন। চা পাতা দিন আধা চা-চামচ। স্বাদমতো মধু কিংবা চিনি পারেন।

পদ্ধতি : পানি ভালোমতো ফুটিয়ে নেওয়ার পর ফুটন্ত পানিতে আদা থেতলে দিয়ে নিন। ৫ থেকে ৭ মিনিট পর চা পাতা এবং চিনি দিন। ভালোমতো ফুটিয়ে চুলা বন্ধ করে তারপর লেবুর রস দিন। আর যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে তারা চিনি বাদ দিয়ে শুধু লিকার খেতে পারেন। এতেও বেশ উপকার পাবেন।

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়

# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।