দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শালগমের পরিচিতি রয়েছে শীতকালীন সবজি হিসেবে। এটি তরকারি হিসেবে রান্না করে খেতে বেশ মজা। এই শালগমে রয়েছে ভিটামিন সি, ই কে। আজ এই শালগমের উপকারিতা জেনে নিন।
শালগমে ক্যালরির পরিমাণ থাকে খুবই কম। তাই নিয়মিতভাবে শালগম খাওয়া শরীরের জন্য খুবই উপকারি একটি বিষয়। শালগম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করতেও সাহায্য করে।
২০১৩ সালের ব্রিটিশ এক গবেষণা থেকে জানা যায় যে, শালগম রক্তচাপ কমাতে ভীষণভাবে সাহায্য করে। শালগম পটাশিয়াম সমৃদ্ধ বলে ধমনীকে প্রশস্ত করে এবং শরীর থেকে সোডিয়াম বের করতে সাহায্য করে।
ভিটামিন এবং পটাসিয়াম ছাড়াও শালগম ক্যালসিয়ামে সমৃদ্ধ। তাই এটি হাড়ের জন্যও খুব উপকারি। সুস্থ এবং শক্তিশালী হাড়ের জন্য খাদ্য তালিকায় অবশ্যই শালগমকে রাখতে হবে।
শালগম পরিপাকের উন্নতি ঘটাতেও সাহায্য করে থাকে। কারণ হলো শালগমে প্রচুর ফাইবার থাকে। যা হজমেও ভীষণভাবে ভালো কাজ করে। যদি হালকা কোষ্ঠকাঠিন্যের প্রবণতা থেকে থাকে, তাহলে সে ক্ষেত্রে শালগম অনেক উপকারি একটি সবজি।
রক্ত জমাট বাঁধাতেও শালগম সাহায্য করে থাকে। শালগম হলো ভিটামিন কে -এর অনেক ভালো উৎস। যা রক্ত জমাট বাঁধতে বিশেষভাবে সাহায্য করে। ক্যালসিয়ামকে প্রক্রিয়াকরণ করা এবং ধমনীর স্বাস্থ্যের জন্য ভিটামিন কে খুবই প্রয়োজন। ধমনীর শক্ত হয়ে যাওয়া প্রতিরোধ করে এই ভিটামিন কে।
আবার দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতেও সাহায্য করে শালগম। শরীরের রোগ প্রতিরোধ কোষগুলোর ঠিকভাবে কাজ করার জন্য এবং ক্যান্সার কোষ বৃদ্ধিকে প্রতিরোধের জন্য ভিটামিন এ খুবই প্রয়োজনীয় একটি জিনিস। শালগম ফলিক এসিডে সমৃদ্ধ থাকায় কোষের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। তাছাড়া ফলিক এসিড মহিলাদের জন্য প্রয়োজনীয়। এ ভিটামিন জন্মগত ত্রুটি প্রতিরোধ করতেও সাহায্য করে থাকে।
শালগম এজমা, মুত্রথলির সমস্যা, লিভারের সমস্যা, ব্রঙ্কাইটিস, কাশি, ওজন বৃদ্ধি রোধ করা এবং টিউমার বৃদ্ধি রোধ করতেও কাজ করে থাকে। তাই শরীর সুস্থ এবং ভালো রাখতে নিয়মিত খাবারের তালিকায় শালগম রাখা অত্যন্ত জরুরি একটি বিষয়। তাই ভুলবেন না শালগম রাখতে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।