দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আবার এসেছে সেট টপ বক্স কেনার সময়। আমাদের দেশে তেলের দাম বাড়ুক আর যার দামই বাড়ুক না কেনো শেষ পর্যন্ত তা গিয়ে সাধারণ জনগণের উপরেই গড়াই। এবার সেই ফ্যাকড়ায় পড়েছেন ডিস গ্রাহকরা।
৩০ নভেম্বরের মধ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রামে এবং ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সারাদেশে কেবল গ্রাহকদের টিভির সঙ্গে সেট টপ বক্স লাগানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই নির্দেশ রয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। তবে বেশিরভাগ গ্রাহকই পরিচিত নন এই সেট টপ বক্স সম্পর্কে। তাছাড়া তাদের ওপর বাড়তি আর্থিক চাপও আসবে।
সেট-টপ বক্স আসলে কী?
সেট-টপ বক্স হলো এমন একটি রিসিভার যা কেবল টিভির গ্রাহক প্রান্তেই থাকে। এই রিসিভার অ্যানালগ সিগন্যালকে ডিজিটাল সিগন্যালে রূপান্তর করতে পারে। এতে গ্রাহকরা ঝকঝকে ছবি এবং ভালো মানের শব্দ উপভোগ করতে পারবেন।
সেট টপ বক্স কেনো প্রয়োজন হচ্ছে?
সরকার ও কেবল অপারেটর প্রতিনিধিরা বলছেন যে, সেট টপ বক্সের সুবিধা গ্রাহক অর্থাৎ দর্শক, সরকার ও কেবল অপারেটর সকলেই পাবেন।
গ্রাহকদের সুবিধা কী?
# গ্রাহকরা এইচডি (হাই ডেফিনিশন) কোয়ালিটির পরিচ্ছন্নভাবে অনুষ্ঠান দেখতে পাবেন।
# বিদেশী চ্যানেলের ক্লিন ফিড কিংবা বিজ্ঞাপন ছাড়া অনুষ্ঠান দেখতে পাবেন।
# পছন্দ মতো অনুষ্ঠান ও চ্যানেলের তালিকাও তৈরি করা হবে, যাতে করে দর্শকরা তার পছন্দের অনুষ্ঠান বা চ্যানেল সহজেই দেখতে পাবেন।
সরকারের সুবিধা কী?
সেট টপ বক্স সংযুক্ত করার কারণে সরকার কেবল অপারেটরদের কাছ থেকে রাজস্ব আদায় করতে সমর্থ হবে।
সেটি টাকার অংকে প্রতিমাসে প্রায় দেড় কোটি টাকার মতো।
কেবল অপারেটরদের সুবিধা কী?
যারা পাড়া-মহল্লায় বিভিন্ন বাসা বাড়িতে কেবল সংযোগ দিয়ে থাকেন, সেসব অপারেটরদের কাছ থেকে কোয়াব একটা তালিকা পাবেন।
অনেকেই রয়েছেন যারা ২০টা বাসায় কেবল সংযোগ দেন তবে বলেন ১০টা বাসা। এই ক্ষেত্রে এটি তারা করতে পারবে না। কারণ সেট টপ বক্স নিলে অ্যানালগ থেকে ডিজিটাল হবে এই প্রক্রিয়াটি।
কোথা থেকে কিনতে হবে সেট টপ বক্স?
গ্রাহকরা যেখান থেকে কেবল কানেকশন নিয়েছেন তাদের কাছ থেকেই সেট টপ বক্স কিনতে হবে। ওই প্রতিষ্ঠান আবার কেবল অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ‘কোয়াব’ এর কাছ থেকে এইসব সেট টপ বক্স কিনবে। এর বাইরে কোনো জায়গা হতে এটি কেনা যাবে না।
বাংলাদেশে ৯৫ শতাংশ সেট টপ বক্স চীন থেকে আমদানি করা হয়। বাংলাদেশে কোনো সেট টপ বক্সই প্রস্তুত করা হয় না। এই সেট টপ বক্সের দাম হলো সর্বনিম্ন ১৬শ টাকা হতে সর্বোচ্চ সাড়ে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত।
তথ্যসূত্র : বিবিসি বাংলা অনলাইন।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।