দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বালিশ নিয়ে ঘুমানো একটি সহজ নিয়ম। এই অভ্যাসটি সবারই রয়েছে। তবে চিকিৎসকরা বলেছেন, সুস্বাস্থ্যের জন্য মাথার নিচে বালিশ গুঁজে শোয়ার অভ্যাস এখনই বদলে ফেলতে হবে।
ঘুমানোর সময় মাথা ও শিরদাঁড়াকে সাপোর্ট দেওয়ার জন্যই মূলত বালিশের ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, বালিশ যতোটা না উপকারে লাগে, তার থেকে অনেক বেশি অপকার করে থাকে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, কয়েকটা দিন একটু কষ্ট স্বীকার করুন, দেখবেন আপনা আপনিই অভ্যাস বদলে যাবে।
চলুন জেনে নেওয়া যাক বালিশ ছাড়া ঘুমানোর উপকারিতা সম্পর্কে।
শিরদাঁড়া চাঙ্গা রাখতে: পিঠে ব্যথা হলেই দ্রুত বালিশ ছাড়া শোয়ার অভ্যাস করুন। দেখবেন উপকার পাওয়া যাবে। মাথার সঙ্গে বাকি শরীরের তল বদলে দিতে পারে বালিশ। যার সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ে থাকে শিরদাঁড়ায়।
ঘাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে: পরিসংখ্যান বলছে যে, দক্ষিণ এশিয়ার মোট জনসংখ্যার সিংহভাগই কাঁধ, ঘাড় বা পিঠের কোনো না কোনও রোগে ভুগছেন ও রোগীদের বেশিরভাগের বয়স ২৫-৪০ এর মধ্যে। তাই তো চিকিৎসকরা কম বয়স থাকতে বালিশ ছাড়া ঘুমানোর অভ্যাস গড়ে তোলার পরামর্শ দিয়েছেন। কারণ হলো এমনটা করলে শোয়ার সময় ঘাড় ও ততসংলগ্ন অঞ্চলে রক্ত সরবরাহ ঠিক মতো হওয়ার সুযোগ পেয়ে যায়।
মুখমণ্ডলের উন্নতি: বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, বালিশে মাথা দিয়ে ঘুমানোর সময় আমাদের মধ্যে অনেকেই উপুড় হয়ে বালিশে মুখ গুঁজে শুতে ভালোবাসেন। এমনভাবে দীর্ঘ সময় কেও যদি ঘুমায়, তাহলে ত্বকে বলিরেখা প্রকাশ পাওয়ার সম্ভাবনাও বাড়ে। বালিশে মাথা দিয়ে শোয়ার পর গালের যে দিকটা বেশির ভাগ সময় বালিশের সঙ্গে সংযুক্ত থাকে সেখানে আধিক্য দেখা যায়।
বালিশে ঘুমালে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে কোনো: বেশ কিছু কেস স্টাডি করে দেখা যায়, বালিশ ছাড়া ঘুমালে যতোটা ভালো ঘুম হয়, বালিশ ব্যবহার করলে অতোটা ভালো ঘুম হয় না।
বালিশ ছাড়া শোয়ার অভ্যাস করবেন কেনো: আমরা সবাই প্রায় ছোট থেকেই বালিশে মাথা রেখে ঘুমিয়ে আসছি। তাই হঠাৎ করেই বালিশ ব্যবহার বন্ধ করে দিলে ঘুম নাও আসতে পারে। তাই ধীরে ধীরে বালিশের অভ্যাস আপনাকে ছাড়তে হবে। এক্ষেত্রে প্রথম এক সপ্তাহ বালিশের পরিবর্তে একটা মোটা তোয়ালে ভাঁজ করে মাথায় দিতে পারে। যতো দিন যেতে থাকবে, ততোই তোয়ালের হাইট কমাতে থাকুন। এভাবে দ্বিতীয় সপ্তাহে তোয়ালেটা একেবারে পাতলা করে দিতে হবে। এই সময় খেয়াল রাখতে হবে, শোয়ার সময় মাথাটা এমন একটা পজিশনে রাখবেন যাতে করে থুতনিটা নিচের দিকে থাকে, উপরের দিকে নয়। আর একটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। যখন তোয়ালের হাইট আপনি একেবারে কমিয়ে দেবেন, তখন মাঝে মাঝে ঘাড় ও পিঠের কিছু ব্যায়াম করা শুরুও করতে পারেন। তাতেও আপনি উপকার পেতে পারেন। তথ্যসূত্র : এনডিটিভি।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।