দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ তৈলাক্ত মাছ খেলে গেঁটেবাতের মতো শারীরিক সমস্যার ঝুঁকি অর্ধেক কমে আসতে পারে। পশ্চিমা একদল বিশেষজ্ঞ এই দাবি করেছেন।
তাদের এই তথ্যটি গবষেণাবিষয়ক নিবন্ধ ‘অ্যানালস অব রিউম্যাটিক ডিজিজেস’ সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে।বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, সপ্তাহে অন্তত একবার এক টুকরা স্যামন কিংবা ম্যাকেরেলের মতো তৈলাক্ত সামুদ্রিক মাছ খেলে বাতজনিত রোগ, বিশেষ করে গেঁটেবাতের মতো যন্ত্রণাকর সমস্যার ঝুঁকি অর্ধেক কমে আসবে। ৩২ হাজার সুইডিশ নারীর ওপর চালানো জরিপের ফলাফল থেকে এই তথ্য পাওয়ার কথা দাবি করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিবিসিতে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রতিদিন মাছ খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ হলো খাবারে মাছ, বিশেষ করে তৈলাক্ত মাছের পরিমাণ বেশি থাকলে প্রচুর ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া যাবে। এই চর্বি মস্তিষ্ক এবং হৃদযন্ত্র ভালো রাখতেও সহায়তা করে।
বাতজনিত রোগ বিশেষজ্ঞরা এই বিষয়ে বলেছেন, স্যামনের মতো তৈলাক্ত মাছগুলো বাতজনিত সমস্যা রোধ করতে সাহায্য করে। শুধু স্যামনই নয়, সামুদ্রিক মাছ সার্ডিন, টুনা এবং মিঠাপানির মাছও বাতজনিত রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে থাকে। কারণ হলো যে কোনো তৈলাক্ত মাছেই ওমেগা-৩-এর পরিমাণ একটু বেশিই থাকে। এসব মাছে ফ্যাটি অ্যাসিড ছাড়াও থাকে ভিটামিন ডি। যেসব মাছের রং সাদা, সেগুলোতেও এসব উ
যারা সন্তানসম্ভবা কিংবা যারা শীঘ্রই সন্তান নিতে চান, তাদের সপ্তাহে ২ টুকরার বেশি তৈলাক্ত মাছ খাওয়া উচিত নয় বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ এতে করে ক্ষতিও হতে পারে।
যুক্তরাজ্যে বাত গবেষণা কেন্দ্রের স্বাস্থ্যবিষয়ক পরিচালক অধ্যাপক অ্যালান সিলম্যান বলেন, যাদের বাত রয়েছে, তারা যদি নিয়মিত সামুদ্রিক মাছ খায় কিংবা মাছের তেল খায়, তাহলে বাতের ঝুঁকিও কমে আসে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।