দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অতিমারি না থামতেই আবারও এসেছে নতুন বছর। বছরের শুরুতেই দৈনন্দিন জীবনে আনতে পারেন কিছুটা পরিবর্তন। যার মধ্যে রয়েছে ঘরের কিছু পরিবর্তন।
বেশ কিছু দিন একই চেহারার ঘরের মধ্যে থাকতে থাকতে শরীর-মন অবসন্ন হয়ে পড়তে পারে- এবং সেটিই স্বাভাবিক বিষয়। আশপাশে যদি মন ভালো করার মতো কিছু পরিবর্তন ঘটানো যায়, তাহলে আপনি মানসিক ও শারীরিকভাবে চাঙ্গা থাকতে পারবেন।
নীচের বিষয়গুলো একটি খেয়াল করুন:
# ঘরে থাকুক নরম হালকা আলো। শরীর ও মনের উপরে আলোর প্রভাব স্বীকার করেছেন বিশ্বের তাবৎ চিকিৎসকরা। যে কারণে চড়া বা অতিরিক্ত আলো যেনো আপনার নিভৃতবাসকে বিঘ্নিত করতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখুন।
# মন ভালো রাখতে হলে নিভৃতবাসে জানালার বাইরে তাকিয়েই কাটাতে হতে পারে অনেকটা সময়। যে কারণে জানালার পর্দাও হয়ে ওঠতে পারে সর্বক্ষণের সঙ্গী। তাই ঘরের জানালায় পর্দা থাক একটু উজ্জ্বল রঙের।
# গায়ে দেওয়ার লেপ কম্বল বাঙালিরা অন্তত ওয়ার না পরিয়ে ব্যবহার করেন না। খাটে থাকা এই সব কাঁথা-কম্বলের ওয়ার হতে পারে পছন্দের প্রিন্টের কিংবা সুন্দর রঙের।
# যদি আপনার ঘরে খাটই হয়ে থাকে ব্যবহারের মতো একমাত্র আসবাব, তাহলে খাটের পাশের ছোট টেবিলে নিয়মিত রাখুন পছন্দের নানা ফুল। মনোরম আলো রাখলেও তা হতে পারে মন ভালো করার একটি উপায়।
# শোওয়ার ঘর হতে পারে ছিমছাম পরিপাটি। অপরিষ্কার বা প্রচুর জিনিসে ভর্তি থাকলে নিভৃতবাসে মন টিকবে না। যে কারণে অতিরিক্ত জিনিসপত্র ঘরে না রাখাই ভালো।
# পছন্দের কোনও দৃশ্যের ছবি বা প্রিয়জনের সঙ্গে কাটানো কোনও মুহূর্তের ছবিও টাঙিয়ে রাখতে পারে খাটের সামনে। মন ভালো রাখতে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতে পারবেন এইসব পদক্ষেপের কারণে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।