দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সিনেমার পর্দায় এখনও দর্শক নায়ক-ভিলেনের দ্বৈরথ দেখতে মুখিয়ে থাকলেও শেষ পর্যন্ত জয় হলো নায়কের! নায়ক-ভিলেন মুখোমুখি হয়েছিলেন ভোটযুদ্ধে! যেখানে জয় হলো নায়কের!
শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) সকাল ৯টা হতে বিএফডিসিতে উৎসবমুখর পরিবেশে দিনভর চলে ভোট গ্রহণ। যে নির্বাচনে মুখোমুখি হন দুই প্যানেলের তারকা শিল্পীরা। দুই প্যানেলের নেতৃত্বে প্রধান দু’জনের একজন পর্দার কালজয়ী নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন ও অপরজন বাংলা সিনেমার প্রতিষ্ঠিত ভিলেন মিশা সওদাগর।
আগামী দুই বছরের জন্য চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নেতৃত্ব দিতে সভাপতি হিসেবে শিল্পীরা আসলে কাকে বেছে নেবেন, পর্দার নায়ককে নাকি ভিলেনকে? এমন প্রশ্নেই চলচ্চিত্রপ্রেমীরা ঘুরপাক খাচ্ছিলেন সবাই। তবে তাদের সেই প্রশ্নের জবাব তারা পেয়েছেন। জয় হয়েছে নায়কেরই।
বহু প্রতীক্ষার পর শনিবার ভোর পৌনে ৬টায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার পীরজাদা হারুন জানিয়েছেন, ভিলেন নয়, সিনেমার মতো বাস্তবেও জয় হয়েছে নায়কের! মিশা সওদাগরকে শিল্পী সমিতির ভোটের মাঠেও পরাজিত করলেন ইলিয়াস কাঞ্চন।
এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন ৪২৮ জন। যারমধ্যে ভোট দিয়েছেন ৩৬৫ জন, ভোট বাতিল হয়েছে ১০টি।
নির্বাচনে ১৯১ ভোট পেয়ে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ইলিয়াস কাঞ্চন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী মিশা সওদাগর। তিনি পেয়েছেন ১৪৮ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে তৃতীয়বারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন জায়েদ। মিশা-জায়েদ পরিষদ থেকে ১১ জন, কাঞ্চন-নিপুণ পরিষদ থেকে ১০ জন নির্বাচিত হয়েছেন।
১১ জন কার্যনির্বাহী সদস্য বিজয়ী হলেন: অঞ্জনা ২২৫ ভোট, অরুনা বিশ্বাস ১৯২ ভোট, অমিত হাসান ২২৭ ভোট, আলীরাজ ২০৩ ভোট, কেয়া ২১২ ভোট, চুন্নু ২২০ ভোট, জেসমিন ২০৮ ভোট, ফেরদৌস ২৪০ ভোট, মৌসুমী ২২৫ ভোট, রোজিনা ১৮৫ ভোট, সুচরিতা ২০১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন।
গতকাল (শুক্রবার) ভোট চলাকালীন সময় দুপুরে বিএফডিসিতে প্রায় সময়ই একসঙ্গেই আলাপে-আড্ডায় মেতে উঠতে দেখা যায় কাঞ্চন ও মিশাকে। প্রতিদ্বন্দ্বিতা ভুলে কাঞ্চনকে এই সময় বলতে শোনা যায়, “ভোটের সময় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা দ্বিমুখী হলেও আমরা কিন্তু এক। আমাদের দেখে দেশবাসীর জানা উচিত, অন্যদেরও নির্বাচন শেখা উচিত।”
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।