দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দক্ষিণ আমেরিকার দেশ পেরুতে ১৪শ বছর পূর্বের ৬ শিশুর মমি উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া মমিগুলোর পাশ থেকে ৭ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দেহাবশেষও পাওয়া যায়।
পেরুর রাজধানী লিমা হতে ১৬ কিলোমিটার দূরের উত্তর-পূর্ব এলাকা কাজামারকুইলাতে মমিগুলোর সন্ধান পাওয়া গেছে।
পেরুর রাজধানী লিমার উপকূলীয় শহর হলো এই কাজামারকুইলা। রবিবার রাজধানী লিমা হতে ১৬ কিলোমিটার দূরের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় এলাকা কাজামারকুইলা হতে মমিগুলোর সন্ধান পাওয়া যায়। সেখান থেকে বস্তায় মোড়ানো ৬ শিশুর মমি পাওয়া গেছে। পৃথকভাবে রশি দিয়ে বাঁধা ছিলো ওই মমিগুলো।
ওইসব মমি সম্পর্কে প্রত্নতত্ত্ববিদরা বলেছেন, মাটি খুঁড়ে প্রথমে তারা সন্ধান পেয়েছেন কয়েকটি ঘরের। পরে ঘরের ভেতরে বস্তায় মোড়ানো ৬ শিশুর মমি উদ্ধার হয়েছে। দেহাবশেষের পাশে পাওয়া গেছে বেশ কিছু মাটি ও ধাতুর হাড়ি-পাতিল।
প্রত্নতত্ত্ববিদরা জানিয়েছেন যে, লাশগুলো অনেকটা ভাজ করা অবস্থায় ছিলো। আর হাতগুলো রাখা ছিলো মুখের কাছে।
ইতিহাসবিদরা মনে করছেন, তৎকালীন প্রথা মেনে বিশেষ ব্যক্তি কিংবা তাদের পরিবারের সদস্যদের লাশ ঠিক এভাবেই সংরক্ষণ করে রাখা হতো।
এ সর্ম্পকে পেরুর গবেষক পিটার ভ্যান ডালিন সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, গত নভেম্বর মাসে যে ধরনের মমি উদ্ধার করেছিলাম এগুলোও একইভাবেই রাখা ছিল। এখান থেকে উদ্ধার হওয়া ১৩টি মমিই রশি দিয়ে বাঁধা অবস্থায় পেয়েছি। হয়তো প্রথা মেনে এভাবে বিশেষ উপায়ে সংরক্ষণ করা হতো।
প্রত্নতত্ত্ববিদরাও বলেছেন যে, উদ্ধার হওয়া মমিগুলোর সঙ্গে গত বছরে পাওয়া মমির সম্পর্ক রয়েছে। সেটি প্রায় ৮শ’ বছরের পুরনো। নতুন মমিগুলো ১৪শ’ বছরের বেশিই পুরনো। উভয় মমিই তুলার কাপড় দিয়ে মোড়ানো ছিলো।
পিটার ভ্যান ডালিন আরও বলেছেন যে, ধারণা করা হচ্ছে অ্যান্ডিয়ান জনগোষ্ঠীর আদর্শে তাদেরকে বলি দেওয়া হয়েছিলো।
এই বিষয়ে প্রত্নতত্ত্ববিদ ইওমিরা হুয়াম্যান জানিয়েছেন যে, শিশুর মমি নিয়ে এখনই কোনো কিছু বলার সময় আসেনি। ডিএনএ, নাইট্রোজেনসহ বিশেষ তদন্ত করতে হবে। গত নভেম্বর মাসের মমির সঙ্গে মিল থাকলেও, আরও যথেষ্ট পরিমাণ তথ্য পাওয়া সম্ভব।
উল্লেখ্য, বর্তমান পেরুই ছিল তৎকালীন ইনকা সভ্যতার মূল কেন্দ্র। সেখানে প্রায় সময় বহু বছরের পুরনো নানা মমির সন্ধান পেয়ে আসছেন বিশেষজ্ঞরা। গত বছর নভেম্বর মাসেও উদ্ধার করা হয় একই ধরনের বেশ কিছু মমি।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।