দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, দৈনন্দিন কাজের মধ্যেই এমন অনেক কাজ রয়েছে যা বাড়িয়ে দিতে পারে আপনার হৃদরোগের ঝুঁকি।
পৃথিবীতে প্রতি বছর সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু ঘটে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে। তবুও হৃদরোগ নিয়ে মানুষের মধ্যে অসচেতনতা রয়েছে। অথচ বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, দৈনন্দিন কাজের মধ্যে এমন অনেক কাজ রয়েছে যা বাড়িয়ে দিতে পারে হৃদরোগের ঝুঁকি। এই ঝুঁকি কমাতে কাজে আসতে পারে সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনচর্চা।
একটানা বসে থাকা: মূলত যাদের সক্রিয় জীবনধারা, তাদের তুলনায় যারা পর্যাপ্ত পরিমাণ নড়াচড়া করেন না ও প্রতিদিন ৫ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় ধরে বসেই থাকেন তাদের হৃদযন্ত্রের সমস্যা তৈরি হওয়ার ঝুঁকি দ্বিগুণ বেশি হয়। কাজের জন্য যদি সারাদিন টেবিলের সামনে বসে থাকতে হয়, তা হলেও প্রতি ঘণ্টায় অন্তত ৫ মিনিট হাঁটাহাঁটি করতে হবে। প্রতিদিনের রুটিনে এই ছোট পরিবর্তন আপনার ধমনীকে নমনীয় রাখবে ও রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখবে।
অতিরিক্ত মদ্যপান: অত্যধিক অ্যালকোহল পান করার কারণে উচ্চ রক্তচাপ, স্ট্রোক ও স্থূলতা দেখা দিতে পারে। এগুলি সবই হৃদরোগের ঝুঁকি আরও বাড়ায়।
দাঁতের অযত্ন: দাঁতের পরিচর্যা শুধুমাত্র আপনার দাঁতের স্বাস্থ্যের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ তা কিন্তু নয়। ২০১৪ সালে জার্নাল অফ পিরিওডন্টাল রিসার্চ-এ প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা যায় যে, হৃদযন্ত্রের সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে যারা সঠিকভাবে দাঁতের যত্ন নেন তাদের মধ্যে সংবহনতন্ত্রের সমস্যা কম দেখা যায়।
অতিরিক্ত নুন খাওয়া: অত্যধিক সোডিয়াম উচ্চ রক্তচাপের কারণও হতে পারে, যা বাড়িয়ে দিতে পারে হৃদরোগের ঝুঁকি। শুধু খাওয়ার সময় অতিরিক্ত লবণই নয়, প্রক্রিয়াজাত খাবার, স্যুপ, হিমায়িত খাবার, চিপসসহ অন্যান্য লবণাক্ত স্ন্যাকসেও প্রচুর পরিমাণ থাকে লবণ। বিশেষজ্ঞদের মতে, দৈনিক ১৫০০ মিলিগ্রামের বেশি সোডিয়াম গ্রহণ করা মোটেও উচিত নয়।
অপর্যাপ্ত ঘুম: হৃদযন্ত্র সারাদিনই কঠোর পরিশ্রম করে। তাই পর্যাপ্ত না ঘুমালে, সংবহনতন্ত্র প্রয়োজনীয় বিশ্রাম তখন পায় না। দীর্ঘ দিন ধরে ঘুমের অভাব ঘটলেও কর্টিসল ও অ্যাড্রেনালিনের মাত্রা আশঙ্কাজনক হারে বাড়তে পারে, এটি অতিরিক্ত মানসিক চাপেরই সমতুল্য। তাই বিশেষজ্ঞরা মত দিয়েছেন যে, প্রাপ্ত বয়স্কদের দিনে অন্তত ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমের দরকার রয়েছে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।