দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে বাংলাদেশের জাহাজটিকে লক্ষ্য করে গোলা হামলা করা হয়। এতে নিহত হন প্রকৌশলী হাদিসুর রহমান আরিফ।
এদিকে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালেদ মাহমুদ চৌধুরী সংবাদ সম্মেলনে বলেন, যুদ্ধ পরিস্থিতির উপর নির্ভর করছে কবে জাহাজটি দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে। জাহাজটিতে পর্যপ্ত খাবার মজুদ রয়েছে বলেও জানান নৌ প্রতিমন্ত্রী।
ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে ২২ ফেব্রুয়ারি নোঙর করে বাংলাদেশী জাহাজ এমভি বাংলার সমৃদ্ধি। ছাড়পত্র পেতে দেরি হওয়ায় আটকা পড়ে জাহাজটি। বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে জাহাজে আঘাত হানে রাশিয়ান একটি মিসাইল। এতে করে নিহত প্রকৌশলী হাদিসুর রহমান আরিফ।
জাহাজের বাকি ২৮ নাবিক অক্ষত রয়েছেন। হাদিসুর রহমানের মরদেহসহ তাদেরকে নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়া হয়েছে বলে পোল্যান্ড থেকে নিশ্চিত করেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সুলতানা লায়লা হোসেন।
রাষ্ট্রদূত সুলতানা লায়লা হোসেন জানিয়েছেন, ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে আটকেপড়া বাংলাদেশী জাহাজটিতে থাকা ২৮ জন নাবিক ও ইঞ্জিনিয়ারকে ওই বন্দর থেকে দুই কিলোমিটার দূরের একটি নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
‘বাংলার সমৃদ্ধি’ নামে ওই জাহাজটিতে বুধবার রকেট হামলায় নিহত হওয়া ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমান আরিফের মরদেহও একটি নিরাপদ হিমাগারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
রাষ্ট্রদূত সুলতানা লায়লা হোসেন আরও জানিয়েছেন, বন্দরটির আশপাশের এলাকায় বাংলাদেশী অনেকেই রয়েছেন – যাদের সহায়তায় এই কাজটি দ্রুত করা সম্ভব হয়েছে।
তিনি বলেছেন, হাদিসুর রহমানের মরদেহসহ এই ২৮ জনকে সীমান্ত পার করে পোল্যান্ডে নিয়ে যাবার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
জাহাজটিতে আগুন ধরার আগে আরিফের সঙ্গে মোবাইলে কথা হয় তার স্বজনদের। ঠিক সেই সময় বিকট শব্দে ফোন কল বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ছোট ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলা অবস্থাতেই একটা বিকট শব্দ শোনা যায় ও ফোন কল কেটে যায় বলে জানিয়েছে আরিফের পরিবার।
তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে আরিফ ছিলেন সকলের বড়। একমাত্র উপার্জনকারীকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ পরিবারের সদস্যরা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।