দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এই পৃথিবীতে স্বামী-স্ত্রীর ভালোবাসার অনেক উদাহরণই রয়েছে। স্ত্রীর মন রক্ষা করতে স্বামীরা অনেক কিছুই করে থাকেন। তবে কখনও কী শুনেছেন স্ত্রীর মন রাখতে স্বামী নিজেই পুরুষ থেকে নারীতে রূপান্তরিত হয়েছেন!
সম্প্রতি ভারতের দিল্লিতে এমন একটি বিস্ময়কর ঘটনা ঘটেছে। সঞ্জয়-নীলা সুখে সংসার করছিলেন। সঞ্জয় ছিলেন নীলার প্রতি খুবই দায়িত্ববান একজন স্বামী। অফিসে শত কাজের মধ্যেও বউ ঠিকঠাক খাওয়া-দাওয়া করছে কিনা, তার খোঁজ রাখতেন তিনি। এমনকী সংসারের সব কাজেই বউকে সাহায্যও করতেন সঞ্জয়। সপ্তাহে একদিন স্ত্রীকে পুরো বিশ্রাম দিয়ে নিজেই রান্নার কাজ করতেন সঞ্জয়। এমনিভাবে সব কিছুই ঠিকঠাক চলছিল। তবে হঠাৎই সুখের সংসারে এলো নতুন মোড়।
ঘটনার সূত্রপাত ঘটে সঞ্জয়ের অফিসের এক নারী সহকর্মী নিয়ে। তার কাছ থেকে সঞ্জয় জানতে পারেন যে, তিনি আগে নাকি পুরুষ ছিলেন, পরে অস্ত্রোপচার করে নারী হয়ে গেছেন। সে কথা বাড়িতে এসে স্ত্রী নীলাকে জানান সঞ্জয়। আর তখনই নীলা রসিকতা করে সঞ্জয়কে বলেন যে, তুমিতো মেয়েদের মতোই কেয়ারিং। তুমিও এবার অপারেশন করে মেয়ে হয়ে যাও!
স্ত্রীর কথাতেই সঞ্জয় ঠিক করেন তিনি মেয়েই হবেন। চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করে এক সময় অপারেশনও করিয়ে ফেলেন। তারপর থেকেই সঞ্জয় এবং নীলার জীবন বইতে শুরু করে এক অন্যখাতে।
পাড়া-পড়শি জানতেই পারললো না যে পুরো ঘটনা কি ঘটেছে। নারীরূপের সঞ্জয়কে নীলা বান্ধবী বলে পরিচয় করাতেন সবার কাছেই। তবে বিপদ ঘটলো, সঞ্জয়ের বাবা-মা হঠাৎ দিল্লিতে ঘুরতে আসার পর। ছেলের এই অবস্থা দেখে জ্ঞান হারানোর মতো অবস্থা হয় তাদের।
পরিস্থিতি সামলেও নিয়েছিলেন সঞ্জয়-নীলা। তবে হঠাৎ বাঁধলো গণ্ডগোল। সঞ্জয়ের মা-বাবা পুরো ঘটনার জন্য দায়ী করলেন পুত্রবধূ নীলাকে। শ্বশুর-শাশুড়ির অভিযোগ শুনে বাপের বাড়ি চলে গেলেন নীলা। শেষমেশ সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে দায়ের করলেন বিবাহবিচ্ছেদের মামলা। সঞ্জয়ের বাবা-মাও পালটা মামলা দায়ের করলেন নীলার বিরুদ্ধে। তথ্যসূত্র : সংবাদ প্রতিদিন।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।