দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কোনও বড় অনুষ্ঠানে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কীভাবে ব্রণের কালো দাগ লুকোবেন তা নিয়ে ভাবছেন? এবার সেই সমস্যার সমাধান কিভাবে তা জেনে নিন।
গরম যতোই বাড়বে, ততোই পাল্লা দিয়ে বাড়বে ব্রণ, ফুসকুড়ির মতো ত্বকের নানা সমস্যাও বাড়তে থাকবে। বিশেষ করে যাদের তৈলাক্ত ত্বক, তারা বছরের এই সময় ব্রণের উপদ্রবে নাজেহাল হয়ে থাকেন। শুধু গরমই নয়, ধুলো বা দূষণের কারণেই নয়, অনেক সময় নানা হরমোনের সমস্যার কারণ, মানসিক চাপ, ঘুমের অভাব, প্রচুর তেলমশলাদার খাবার খাওয়ার মতো কারণেও ব্রণের প্রকোপ বাড়তে পারে। তাছাড়া ব্রণ শুকিয়ে গেলেও সেই দাগ চট করে যেতে চায় না। দেখতে মোটেই ভালো লাগে না! সামনেই অফিসের বড় অনুষ্ঠান কিংবা প্রিয়জনের বিয়ে। কীভাবে ব্রণের কালো দাগ লুকোবেন ভাবছেন? রূপটানের সৌজন্যেই হবে এর সমস্যার সমাধান। তবে মনে রাখতে হবে, এই সমাধান সাময়িক।
মেকআপের সাহায্যে কীভাবে ব্রণ ঢাকবেন?
# ত্বক ভালো করে পরিষ্কার করে নিয়ে টোনার ও ময়েশ্চারাইজ়ার লাগিয়ে নিন।
# প্রাইমার লাগিয়ে নিন। মেকআপের পূর্বে এটি লাগালে মেকআপ দীর্ঘক্ষণ টিকে থাকবে। পুরো মুখে প্রাইমার লাগাতে ইচ্ছে না করলে ব্রাশে করে শুধু ব্রণ কিংবা দাগছোপের অংশেও ইচ্ছে করলে লাগাতে পারেন। এই ক্ষেত্রে ‘ম্যাটিফাইং প্রাইমার’ ব্যবহার করতে কিন্তু ভুলবেন না।
# ব্রণ কিংবা ব্রণের দাগ, অন্যান্য দাগছোপের উপর ত্বকের রঙের সঙ্গে মানানসই কনসিলার লাগান। ব্রাশ দিয়ে ভালো করে ত্বকের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। এতে ব্রণের দাগ আবছা হয়ে আসবে।
# এখন ফাউন্ডেশন লাগানোর পালা। আপনার ত্বকের সঙ্গে মানানসই ফাউন্ডেশন লাগাতে হবে। অল্প করে ফাউন্ডেশন নিয়ে স্পঞ্জ দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। খুব বেশি ফাউন্ডেশন লাগানোর কোনো প্রয়োজন নেই। তবে অবশ্যই এমন ফাউন্ডেশন ব্যবহার করবেন যাতে তেলের পরিমাণ কম থাকে।
# তারপর কমপ্যাক্ট পাউডার সারা মুখে লাগিয়ে নিন। এতে করে মুখ বেশি চকচকে দেখাবে না, ব্রণও আড়াল করা যাবে।
মেকআপ তোলার ক্ষেত্রেও বিশেষ যত্ন নিন
আপনি যেদিন মেকআপ করবেন, সেদিন বাড়ি ফিরেই অবশ্যই মেকআপ তুলবেন। নইলে ব্রণের সমস্যা আরও বেড়ে যেতে পারে। মেকআপ তোলার ক্ষেত্রে ‘ডবল ক্লিনজিং’ পদ্ধতি ব্যবহার করুন। কারণ এক বার ফেসওয়াশ করলে বা শুধু মেকআপ রিমুভার ব্যবহার করলেই মুখ পরিষ্কার হয় না। প্রথমে মেকআপ রিমুভার ব্যবহার করে মেকআপ সরিয়ে ফেলতে হবে। তারপর ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে হবে। তারপর অ্যালোভেরা জেল লাগিয়ে নিনতে হবে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।