দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেকের দেখা যায় সারা বছরই ঠাণ্ডা লেগে থাকে। তারা বুঝতে পারেন না এর সমাধান কী বা কি কারণে এমনিভাবে সারাবছর তারা ঠাণ্ডায় ভুগছেন। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে এমনটি হতে পারে।
পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের ক্ষেত্রে থাইরয়েডের সমস্যা বেশি দেখা যায়। হঠাৎ করে অতিরিক্ত ওজন বেড়ে যাওয়াও থাইরয়েডের লক্ষণ হতে পারে বলে অভিমত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
অনেকেই থাইরয়েডের সমস্যায় ভুগে থাকেন। তবে পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের থাইরয়েডের সমস্যা অনেক বেশি দেখা যায়। যে কোনও রোগের ক্ষেত্রেই যতো আগে রোগের উপস্থিতি বুঝতে পাওয়া যায় ততোই মঙ্গল। এতে আগাম সতর্কতা নেওয়া সম্ভব হয়।
শরীরের বিপাক ক্রিয়ার সঙ্গে থাইরয়ে়ড গ্রন্থির একটি যোগসূত্রও রয়েছে। থাইরয়েড হলে বিপাক ক্রিয়াতেও তার বিভিন্ন প্রভাব পড়তে পারে। যে কারণে বিপাক হারের মাত্রা যদি কমে যায় বা বেড়ে যায় তার প্রভাবও পড়ে ওজনে।
ক্লান্তি বোধ করা
থাইরয়ে়ডের প্রাথমিক লক্ষণই হলো ক্লান্তি বোধ করা। থাইরয়েড হরমোন মূলত শরীরে শক্তির জোগান দিয়ে থাকে। আপনি যদি অতিরিক্ত ক্লান্তি অনুভব করে থাকেন, তাহলে তা থাইরয়েড হওয়ারও লক্ষণ হতে পারে।
অতিরিক্ত ঠাণ্ডা অনুভব করা
শীত বলে কোনো কথা নয়। সারাবছরই অনেকেই ঠান্ডাণ্ডা লাগার সমস্যায় ভুগে থাকেন। এর একটি প্রধান কারণ হতে পারে শরীরে যথেষ্ট পরিমাণ ক্যালোরি ঝরছে না। বরং শরীর আরও ক্যালোরি সঞ্চয় করে রাখছে। যা থাইরয়েড হওয়ার লক্ষণ হিসাবে ধরে নেওয়া যেতে পারে।
চুল পড়া
থাইরয়েড হলে চুল ঝরা আরও বেড়ে যেতে পারে। চুলের গোড়া দুর্বল হয়ে যাওয়ার জন্য অনেক ক্ষেত্রেই থাইরয়েডজনিত সমস্যাই দায়ী।
মহিলাদের ঋতুস্রাবের সমস্যা
মহিলাদের ক্ষেত্রে অনিয়মিত ঋতুস্রাব থাইরয়েডের প্রধান লক্ষণ হতে পারে। আবার থাইরয়েডের কারণে ঋতুচক্রও বিঘ্নিত হতে পারে। ঋতুস্রাবের পরিমাণও অনেক সময় কম হতে পারে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।