দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাণিজ্যিক স্বার্থের উর্দ্ধে থেকে দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় পেইন্টস সলিউশন ব্র্যান্ড বার্জার প্রতিনিয়ত দেশের জনগণকে অনুপ্রাণিত করে চলেছে, এবং এরই ধারাবাহিকতায় প্রতিষ্ঠানটি সম্প্রতি আয়োজন করেছে “২৬তম বার্জার ইয়াং পেইন্টার্স আর্ট কম্পিটিশন (বিওয়াইপিএসি)।
আগামীর সম্ভাবনাময় চিত্রশিল্পীদের প্রতিভাকে স্বীকৃতি দেওয়ার লক্ষ্যে বার্জার নিয়মিত এই প্রতিযোগিতাটির আয়োজন করে থাকে। এ উপলক্ষ্যে ঢাকার গুলশান ক্লাবে একটি পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়, যেখানে ছয়জন তরুণ এবং প্রতিভাবান শিল্পীকে তাদের অনন্য চিত্রকর্মের জন্য পুরস্কৃত করা হয়।
প্রতিযোগী সুবর্ণ চক্রবর্তী তন্ময়ের “ক্লোজ আপ” শীর্ষক ছবিটি এবারের আয়োজনে বিজয়ী ঘোষিত হয়, যার মাধ্যমে তিনি ১ লাখ টাকার প্রথম পুরস্কার জিতে নেন। রানার-আপ মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন এবং এবং দ্বিতীয় রানার-আপ মোঃ মেজানুর রহমান যথাক্রমে ৭৫ হাজার টাকা এবং ৫০ হাজার টাকার পুরস্কার জয় করেন। অন্যান্য বিজয়ীদের মধ্যে ছিলেন- মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম মজুমদার, আসিফ আল নূর রাতুল এবং মোঃ আরিফুল ইসলাম। বিজয়ীদের সকলকে পুরস্কারের পাশাপাশি ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।
এবারের আয়োজনে সম্মানিত জুরি হিসেবে ছিলেন অধ্যাপক নিসার হোসেন, মাকসুদা ইকবাল নিপা, কামাল উদ্দিন, অধ্যাপক ড. বজলুর রশীদ খান, ফারহানা ফেরদৌসী, অধ্যাপক আনিসুজ্জামান ও কামাল উদ্দিন। ৩৭৩ জন অংশগ্রহণকারীর জমা দেওয়া মোট ৪১১টি চিত্রকর্ম থেকে জুরি প্যানেল এবারের সেরা পেইন্টিংগুলো নির্বাচন করেন। এ প্রসঙ্গে জুরি কমিটির চেয়ারম্যান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন প্রফেসর নিসার হোসেন বলেন, “এমন চমৎকার সব পেইন্টিং থেকে সেরা পাঁচটি বা ছয়টি নির্বাচন করা আমাদের জন্য বেশ চ্যালেঞ্জিং ছিল। কিন্তু এর ফলে এটিও প্রমাণিত হয় যে, ভবিষ্যতে বাংলাদেশে আমরা কিছু চমৎকার শিল্পীকে পেতে যাচ্ছি, তাই আমাদের অবশ্যই তাদের স্বপ্নকে লালন করতে এবং ভবিষ্যতের জন্য প্রতিভার চর্চা বজায় রাখতে সাহায্য করতে হবে”।
বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রূপালী চৌধুরী বলেন, “১৯৯৬ সাল থেকে বার্জার ইয়াং পেইন্টার্স আর্ট কম্পিটিশনের মাধ্যমে আমরা দেশের পরবর্তী প্রজন্মের চিত্রশিল্পীদের পাশে দাঁড়ানোর প্রয়াস চালু রেখেছি। এবং এই প্রতিভাবান শিল্পীদেরকে তাদের স্বপ্নের পথে এগিয়ে যেতে উৎসাহিত ও সম্মানিত করতে পেরে আমরা গর্বিত। আমি ২৬তম আয়োজনের সকল বিজয়ী এবং অংশগ্রহণকারীদের অভিনন্দন জানাই। প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হওয়া বা না হওয়া বড় কথা নয় – আপনারা আপনাদের আঁকাআঁকির চর্চা চালিয়ে যান এবং রং-তুলির আঁচড়ে
পৃথিবীকে আরও সুন্দর করে তুলুন”।
বার্জার ইয়াং পেইন্টার্স আর্ট কম্পিটিশনে ছবি জমা দানের সময়সীমা ছিল জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর, ২০২১ পর্যন্ত। অংশগ্রহণকারীরা তেল রঙ, অ্যাক্রিলিক, জলের রঙ, স্কেচ, লাইন ড্রয়িং, প্রিন্ট মেকিং এবং মিক্সড মিডিয়া থেকে তাদের পছন্দসই মাধ্যমটি ব্যবহার করে ছবি আঁকেন ও প্রতিযোগিতার জন্য জমা দেন। খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।